মুখরোচক খাবার আর শীতের এলানো আমেজে হঠাৎ খেয়াল হল ওজন গেছে বেড়ে।
ঠাণ্ডার জড়তা কাটিয়ে ব্যায়াম করাও হয়নি। ওদিকে শীতের সময় দাওয়াত খাওয়া কিংবা ঘরেই নানান মজাদার খাবার খেয়ে ওজন বেড়ে যাওয়া ঘটনা নতুন নয়।
এই বাড়তি ওজন ঝরানোর জন্য রয়েছে সহজ কিছু কৌশল।
‘কার্ডিও’ ব্যায়ামে মনোযোগী হওয়া
শরীরচর্চায় ওজন ঝরাতে ‘কার্ডিও’ করা খুবই উপকারী।
এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘মেলিসা মিট্রি নিউট্রিশিন’য়ের পুষ্টিবিদ মেলিসা মিট্রি ইটদিস নটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “এই ধরনের ব্যায়াম চর্বি পোড়াতে ও দেহের বাড়তি পানি কমাতে সাহায্য করে অল্প সময়ে।”
যেমন- দৌঁড়ানো বা জোরে হাঁটা, দড়ি লাফানো। এই ধরনের শরীর চর্চায় হৃদস্পন্দন বাড়ে।
প্রক্রিয়াজাত খাবার কমানো
স্বাস্থবান থাকার পাশাপাশি ওজন কমাতে চাইলে প্রক্রিয়াজাত খাবারের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছাড়তে হবে।
মিট্রি বলেন, “বেশিরভাগ প্রক্রিয়াজাত ও মোড়কজাত খাবারে থাকে স্যাচুরেইটেড ফ্যাট, চিনি ও লবণ। এগুলোর কারণে ওজন বাড়ে।”
এসব খাবারের পরিবর্তে চর্বিহীন মুরগির মাংস, পূর্ণ শষ্য, মাছ ও হিমায়িত টাটকা খাবার বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেন এই পুষ্টিবিদ।
লবণ এড়ানো
যুক্তরাষ্ট্রের অনলাইন-ভিত্তিক স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ওয়েবএমডি’র তথ্যানুসারে, যদি কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক দিনের মধ্যেই দেখা যায় দেহের ওজন বাড়ছে তবে সেটার কারণ হতে পারে লবণাক্ত খাবার।
মিট্রি ব্যাখ্যা করেন, “লবণ দেহে পানি ধরে রাখে। তাই বেশি লবণ খেলে দেহের ওজন খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে।”
লবণ খাওয়া কমাতে, বাড়ির রান্নায় লবণ কম দেওয়ার পাশাপাশি বাইরের লবণাক্ত খাবার বাদ দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
খাওয়ার জন্য ছোট প্লেট ব্যবহার
প্লেট ভর্তি করে খাবার না নিলে যেন মনের খিদা মেটে না। এই সমস্যা সমাধানের ভালো উপায় হল ছোট প্লেটে খাবার খাওয়া।
মিট্রি বলেন, “ছোট প্লেট ভর্তি করে খেলেও মনে হবে অনেক খাবার খেয়েছি। এটা এক ধরনের মানসিক তৃপ্তি দেয়। তবে ছোট প্লেটেও খাবার বার বার নিয়ে বেশি খেলে হবে না। খেতে হবে একবারই।”
মদ্যপান না করা
অ্যালকোহল অবশ্যই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না। আর যাদের মদ্যপানের অভ্যাস আছে তাদের মেদ বাড়বেই।
মিট্রি বলেন, “অ্যালকোহল ধরনের পানীয় চিনি ও ক্যালরিতে পূর্ণ থাকে। পাশাপাশি এই ধরনের পানীয় পানের সময় নানান ভাজাপোড়া মুখরোচক খাবার খাওয়া হয়, যা ওজন বাড়ার আরেক কারণ।”
তাই ওজন কমাতে ও সুস্থ থাকতে মদ্যপানের অভ্যাস অবশ্যই ছাড়তে হবে।
ছবির মডেল: বন্যা। আলোকচিত্র: রাইনা মাহমুদ। বিন্যাস ও পরিকল্পনা: আলি আফজাল নিকোলাস। সৌজন্যে: ত্রয়ী ফটোগ্রাফি স্টুডিও।
আরও পড়ুন: