ছোটখাট অভ্যাস পরিবর্তনেও ওজন কমানোর মাত্রা বাড়ানো যায়।
Published : 19 Jan 2023, 01:22 PM
অতিরিক্ত ওজন নিয়ে অসন্তুষ্ঠ হলে বুঝতে হবে দৈনিক রুটিন পরিবর্তনের সময় হয়েছে।
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও ব্যায়াম মেদ ঝরাতে ভূমিকা রাখে।
“তবে কিছু অভ্যাস যোগ আর ত্যাগ করার মাধ্যমেও চর্বি ঝরানোর প্রক্রিয়া দ্রুত করা যায়”, ইটদিস নটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এভাবেই মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের ‘মেলিসা মিট্রি নিউট্রিশিন’য়ের পুষ্টিবিদ মেলিসা মিট্রি।
সকালের নাস্তায় প্রোটিনের মাত্রা বাড়ানো
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে প্রোটিন গ্রহণের সঙ্গে ওজন কমানোর সম্পর্ক রয়েছে।
যেমন- ‘আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিকাল নিউট্রিশন’য়ে প্রকাশিত কলম্বিয়া’র ‘ইউনিভার্সিটি অফ মিজোরি’র করা গবেষণার ফলাফল বলে, ‘উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন-ডায়েট সফলভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে।’
তাই বলার অপেক্ষা রাখে না, দৈনিক প্রোটিন গ্রহণের মাত্রা বাড়াতে পারলে ওজন কমানোতে সহায়ক হবে। বিশেষ করে সকালে।
মিট্রি বলেন, “সকালের নাস্তায় প্রোটিন বেশি খাওয়া মানে, পেট ভরা অনুভূতি বেশিক্ষণ থাকা। ফলে সারাদিন খিদা লাগবে কম আর আজেবাজে খাবার খাওয়ার ইচ্ছাও কমবে। যে কারণে সার্বিকভাবে ক্যালরিও কম গ্রহণ করা হবে।”
অ্যালকোহলের মাত্রা কমানো
যে কোনো প্রকার মদ-ধরনের পানীয় ক্যালরি ও চিনিতে ভরপুর। যা কিনা ফোলাভাব আনে শরীরে পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ইচ্ছেও জাগায়।
মিট্রি বলেন, “যত বেশি কম অ্যালকোহল গ্রহণ করা হবে তত বেশি পেটের মেদ কমানোতে সহায়ক হবে। সেই সঙ্গে শরীরও হালকা বোধ হয়। খুব ভালো হয় যারা মদে অভ্যস্ত, একেবারে ছেড়ে দিতে পারলে।”
চিনিযুক্ত খাবার পরিহার
আলাদা করে চিনি দেওয়া আছে এরকম খাবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। যেমন- জুস, কোমল পানীয়, এনার্জি ড্রিংক, কফিতে চিনি-ক্রিম দেওয়া, মিষ্টি দই এরকম যে কোনো খাবার।
মি্ট্রি পরামর্শ দেন, “চিনিযুক্ত খাবার কেনার সময় প্যাকেটের গায়ে কী পরিমাণ ‘অ্যাডেড সুগার’ লেখা সেটা খেয়াল করুন। সাধারণভাবে পুরুষদের ২৪ গ্রাম ও নারীদের ২৬ গ্রামের নিচে দৈনিক চিনি গ্রহণের কথা বলা হয়।”
আর্দ্র হওয়া- বিশেষ করে খাওয়ার আগে
মানে পানি পান করতে হবে। ‘হাব অ্যাট ওয়ার্ক, জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটি’র তথ্যানুসারে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পানে বিপাক প্রক্রিয়া দ্রুত হয়। খিদা কমায় এবং ব্যায়ামে কার্যকর করতে ভূমিকা রাখে। আর এসব মিলিয়ে ওজন কমানোতে প্রভাব রাখে।
মিট্রি বলেন, “সারাদিন ধরে পানি পানের অভ্যাসে খাওয়ার পরিমাণ কমে। বিশেষ করে কোনো খাবার খাওয়ার আগে এক গ্লাস পানি পানের অভ্যাস গড়লে ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে।”
পানি হজমের কাজে সাহায্য করে, শক্তি দেয় এবং কার্ব গ্রহণের ইচ্ছা কমায়।
অভ্যাসের দিকে নজর রাখা
নানান অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে বেশিরভাগ সময় আনমনে আমরা অনেক কাজ করি। সেসব যদি ওজন বাড়াতে থাকে তবে নজর রাখলে সেসব বিষয়ে সাবধান হওয়া যাবে।
মিট্রি বলেন, “এমনও হতে পারে আপনি মনের ভুলে নাস্তা বেশি খাচ্ছেন, কিংবা রাতে বেশি খেয়ে ফেলছেন। এসব নজরে আনতে পারলে, অভ্যাস ত্যাগ করা সহজ হবে। ফলে অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণের মাত্রাও কমবে।
আরও পড়ুন