উপকারী হলেও ফল দিয়ে তৈরি পানীয় ওজন বৃদ্ধি করতে পারে।
Published : 26 Apr 2024, 12:07 PM
প্রাকৃতিক চিনির উৎস ফল। তবে এই চিনি ওজন বাড়ানোতে ভূমিকা রাখে না।
কিন্তু ফল থেকে তৈরি পানীয়তে থাকে না আঁশ। আবার আলাদা করে সাধারণ চিনি মেশানোর কারণে ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ বেড়ে যায়।
এরকম আরও বিষয় রয়েছে সেগুলো ওজন কমাতে বাধা তৈরি করে। বিস্তারিত জানানো হল ইটদিস নটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে।
ফলের সালাদ: খুব ভালোভাবে পরিবেশন করা ফলের সালাদ খেতে সুস্বাদু হলেও তা ওজন কমাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। কারণ সালাদ তৈরির অন্যান্য উপকরণ থেকে অতিরিক্ত ফ্রুকটোজ দেহে ঢোকে। তাই ফলের সালাদের পরিবর্তে কেবল তাজা ফল খান।
ফলের জুস: ফল থেকে তৈরি জুস বা শরবত চিনিতে ভরপুর এবং এতে তাজা ফলের কোনো আঁশ ও খনিজ উপাদান থাকে না। প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা ফলের জুস বরং ওজন বৃদ্ধি করে।
শুকনা ফল: পানি বের করে দিয়ে শুকনা ফল তৈরি করা হয়। তাই শুকনা ফলে ক্যালরি ও চিনি জমাট বাঁধা থাকে। এক কাপ কিশমিশ খাওয়া মানে হল প্রায় ৫শ’ গ্রাম ক্যালরি গ্রহণ করা। তাছাড়া অনেক শুকনা ফলে বাড়তি চিনি ও রাসায়নিক উপাদান যোগ করা হয়।
গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ফল: আম বা আনারস নিঃসন্দেহে মজার ফল। তবে এই ধরনের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ফলে অন্যান্য ফলের চেয়ে বেশি শর্করা থাকে। তাই ওজন কমাতে চাইলে এসব ফল পরিমাণে অল্প খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
সিরাপে ভেজানো ফল: টিনের ক্যানে থাকা সিরাপে ডোবানো ফল কিংবা সিরাপে ভেজানো ফল এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। এতে উচ্চ মাত্রায় শর্করা থাকে, যাতে ওজন বৃদ্ধি পায়।
ব্লেন্ড করা ফলের পানীয়: এই ধরনের পানীয় প্রক্রিয়াজাত ফলের জুসের মতো অতটা খারাপ না। কারণ এতে কিছু পরিমাণে আঁশ থাকে। আর তাজা ফলের গুণাগুণও থাকে খানিকটা। তবে এতে বেশি চিনি যোগ করার ফলে ক্যালরির পরিমাণ বেড়ে যায়।
এছাড়াও মনে রাখতে হবে প্যাকেটজাত ফ্রুট জুসে প্রচুর চিনি থাকে। অর্থাৎ এগুলোতে ক্যালরির মাত্রাও বেশি।
ফল সমৃদ্ধ স্ন্যাক্স: ফল সমৃদ্ধ চকোলেট না অন্যান্য খাবার সবাই খুব পছন্দ করে, বিশেষ করে শিশুরা। তবে মনে রাখতে হবে এটা খুব একটা স্বাস্থ্যকর নয়। এতে বাড়তি চিনি মেশানো না হলেও তাজা ফলের মতো পুষ্টিগুণ থাকে না। বরং থাকতে পারে জমাট বাঁধা ফ্রুক্টোজ। তাই কোমড়ের মাপ বাড়াতেও দায়ী হতে পারে এই ধরনের ফলের মুখরোচক খাবার।
আরও পড়ুন