বিভিন্ন ধরনের ফলের রস ও চা- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
Published : 01 Apr 2024, 06:55 PM
প্রাথমিকভাবে জীবনযাপন পদ্ধতির পরিবর্তন ও ওষুধ রক্তচাপ চিকিৎসার প্রধান কৌশল।
তবে খাদ্যাভ্যাসও ‘হাইপারটেনশন’ বা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
জবা ফুলের নির্যাসের চা
এটা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যেমন- অ্যান্থোসায়ানিন্স ও ফ্লাভানয়েডস সমৃদ্ধ। জবা ফুলের পাতা শুকিয়ে এই চা বানানো হয়।
এই বিষয়ে হেল্থশ্টস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতের ফরিবাদের এশিয়ান হাসপাতালের পুষ্টিবিদ কোমাল মালিক বলেন, “এসব অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ধমনী সুস্থ রাখে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।”
পাবমেড সাময়িকীতে প্রকাশিত ২০১৫ সালে পশ্চিম রোমানিয়া’র তিমিসোয়ারা’তে অবস্থিত ‘ভিক্টর বেবিস’ ইউনিভার্সিটি অফ মেডিসিন অ্যান্ড ফার্মেসি’র করা গবেষণায় দেখা গেছে, জাবা ফুলের চা পান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, ধমনীর সঠিক সংকোচন ও প্রসারণে ভূমিকা রাখে।
ফুটন্ত গরম পানিতে জবা ফুলের কয়েকটা শুকনো পাপড়ি দিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর কুসুম গরম অবস্থায় পান করতে হবে।
আপেলের রস
কথায় বলে, প্রতিদিন একটা আপেল খেলে ডাক্তারের কাছ থেকে দূরে থাকা যায়। আপেলের রস পলিফেনল, বিশেষত ফ্লাভানয়েডস সমৃদ্ধ- যা হৃদসংক্রান্ত কার্যক্রমে উপকারী ভূমিকা রাখে।
ফ্লাভানয়েডস ধমনী প্রশমিত করে, ‘এন্ডোথেলিয়াল’ কার্যকারিতা উন্নত করে।
অন্যদিকে, এতে আছে পটাসিয়াম যা সোডিয়ামের ভারসাম্য রক্ষা করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
বিটরুটের রস
লন্ডনের ‘কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি’র ‘ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন’য়ের ২০১৫ সালের গবেষণায় দেখা গেছে, ২৫০ মি.লি. কাপ পরিমাণ বিটরুটের রস প্রতিদিন গ্রহণ করলে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে দুই কাপ বিটরুটের রস বাড়তি উপকার করে।
কোমাল মালিক ব্যাখ্যা করেন, “বিটরুট রস নাইট্রিক অক্সাইড সমৃদ্ধ যা ধমনী প্রশমিত করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।”
নিয়মিত বিটরুটের রস পান শরীর আর্দ্র রাখতেও ভূমিকা রাখে।
ডালিমের রস
পুষ্টি উপাদান যেমন- ভিটামিন সি, পটাসিয়াম ও ফোলেইট সমৃদ্ধ। এতে আছে উচ্চ মাত্রার প্রদাহনাশক উপাদান।
এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ভূমিকা রাখে।
ব্যাখ্যা করে মালিক বলেন, “নিয়মিত ডালিমের রস পান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, কোলেস্টেরলের মাত্রা উন্নত করে এবং দেহের অক্সিডেটিভ চাপ কমিয়ে নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদনে ও প্রদাহ কমাতে ভূমিকা রাখে।”
গ্রিন টি
এতে আছে ক্যাটেচিন্স নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায় এবং হৃদস্বাস্থ্য ভালো রাখে।
বিএমসি পাবলিক হেল্থ’য়ে প্রকাশিত ‘ওয়েস্ট চায়না স্কুল অফ পাবলিক হেল্থ অ্যান্ড ওয়েস্টা চায়না ফোর্থ হসপিটালম শিচুয়ান ইউনিভার্সিটি’ পরিচালিত গবেষণা অনুযায়ী, গ্রিন টি নিয়মিত গ্রহণ করা ডায়াস্টোলিক এবং সিস্টোলিক- দুই রক্তচাপ কমায়।
এই উপকার পেতে দিনে দুতিন কাপ গ্রিন টি খাওয়া উপকারী।
আরও পড়ুন