যেসব অভ্যাস থাকলে ওজন কমবে না

শুধু শরীরচর্চায় ওজন কমে না। সঙ্গে চাই কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Feb 2023, 07:24 AM
Updated : 9 Feb 2023, 07:24 AM

বদভ্যাসের কারণে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন ব্যর্থ হতে পারে।

আর একথা ঠিক যে, ওজন কমানো সহজ কথা নয়। এর জন্য চাই পরিশ্রম, একাগ্রতা, প্রেরণা এবং সঠিক পরিকল্পনা।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য-বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘এফওয়াইটি’র প্রশিক্ষক ভিক্টোরিয়া ব্র্যাডি ইটদিস নটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেন, “ওজন কমানোর যাত্রা শুরু করার পর কিছু অভ্যাস অবশ্যই বাদ দিতে হবে। না হলে কাঙ্ক্ষিত ফল কখনই ধরা দেবে না।”

অনিয়মিতভাবে নাস্তা করা

ব্র্যাডির মতে, যখন তখন খাবার খাওয়া ওজন কমানোর পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কেননা এতে করে ক্যালরি গ্রহণের মাত্রা হিসাবে থাকে না। ফলাফল অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ।

তিনি ব্যাখ্যা করেন, “খাবার স্বাস্থ্যকর হোক বা না হোক অতিরিক্ত যে কোনো খাবার খাওয়াই খারাপ। তাই পরিমাপ করে খাবার খাওয়া উচিত। এতে যেমন ক্যালরির নিয়ন্ত্রণে থাকে তেমনি বেশি খাওয়ার ঝুঁকিও কমে।”

না খাওয়া

ব্র্যাডি বলেন, “এক বেলা খাবার না খেয়ে থাকা দেহকে ‘সারভাইভাল মোড’য়ে রাখে। এর মানে হল শক্তি সঞ্চয়ের জন্য ক্যালরি সংরক্ষণ করে রাখে দেহ।”

ক্ষুধা নিবারণের জন্য অস্বাস্থ্যকর খাবার যেমন- ফাস্ট ফুড ইত্যাদি খাওয়া বন্ধ করা উচিত। এগুলো ওজন কমানোর পথে বাধা।

ক্যালরিযুক্ত পানীয় গ্রহণ

ফলের রস বা অন্যান্য কোমল পানীয় গ্রহণের মধ্য দিয়ে দেহে বাড়তি ক্যালরি যোগ হয়।

ব্র্যাডি বলেন, “অনেকেই জানেন না বেশিরভাগ পানীয়র সঙ্গে কতটা বাড়তি ক্যালরি গ্রহণ করেন। এগুলোতে বাড়তি চিনি থাকে তাই স্বাদ ভালো লাগে।”

অতিরিক্ত চিনি বিশেষত অ্যালকোহল গ্রহণ শুধু ওজন বাড়ায় না বরং বিপাকক্রিয়া ধীর করে।

অপর্যাপ্ত বিশ্রাম

শরীরচর্চার পরে রাতে আরামদায়ক ও নিরবিচ্ছিন্ন ঘুম শরীর পুনর্গঠনে সহায়তা করে। ঘুমের ঘাটতি দেহের ওজন বাড়ায়, জানা যায় অনেক গবেষণা থেকে।

ব্র্যাডি বলেন, “ঘুমের ঘাটতি দেখা দিলে শরীর পুনর্গঠিত হতে পারে না। হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। আর ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়। কারণ দেহে কার্বোহাইড্রেইট ও ক্যালরির চাহিদা বৃদ্ধি পায়।”

এটাও মনে রাখা জরুরি যে, বিশ্রামের দিনগুলো গুরুত্বপূর্ণ। একটা পরিশ্রম বা শরীরচর্চা দেহে আঘাতের ঝুঁকি বাড়ায়।”

পুষ্টির চেয়ে শরীরচর্চার দিকে বেশি মনোযোগ দেওয়া

ওজন কমাতে শরীরচর্চা গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস নিশ্চিত করতে হবে। পুষ্টিকর খাবার ও শরীরচর্চা দুটোই সুস্থ থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

ব্যাখ্যা করে ব্র্যাডি বলেন, “ওজন কমান বিষয়টা ৮০/২০ নীতির ওপর নির্ভর করে। যেখানে ৮০ শতাংশ পুষ্টিকর খাবার এবং ২০ শতাংশ শরীরচর্চা। তাই খাদ্যাভ্যাস উন্নত না করে কেবল ব্যায়ামের দিকে মনোযোগ দিলে চলবে না।”

বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার খেয়ে ব্যায়াম করলে ইতিবাচক কোনো ফলাফল আসবে না। শরীরচর্চা সামান্য ক্যালরি ঝরায়। বাকিটা নির্ভর করে পুষ্টি ও ক্যালরি গ্রহণের মাত্রার ওপর।

আরও পড়ুন

Also Read: যেসব ভুলে ওজন কমছে না

Also Read: বাইরে খেয়েও ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখার উপায়