মুখরোচক খাবার খাবেন অথচ ওজন বাড়বে না। কেমন হয় ব্যাপারটা!
Published : 14 Aug 2022, 06:03 PM
রেস্তোরাঁর খাবার একটু সমঝে খেলে ওজন থাকবে হাতের নাগালে।
সময়ের অভাবে, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় কিংবা শুধুই ভিন্ন স্বাদের খাবার খেতে রেস্তোরাঁয় যাওয়া হয় প্রায়ই। কাজের প্রয়োজনে আবার নিয়মিত বিভিন্ন হোটেলের খাবার খেতে হয়।
ক্রমাগত এই জীবনযাত্রা চলতে থাকলে ওজন বেড়ে যেতে বেশি সময় লাগে না। আর ওজন বেড়ে যাচ্ছে বলে রেস্তোরাঁয় খাওয়াকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করাও যেন নিজের প্রতিই অবিচার করা।
তাইলে উপায়?
উপায় হল ভারসাম্য বজায় রাখা। কী খাবেন, কতটুকু খাবেন সেগুলোর হিসাব করা।
খাবারের পরিমাণ
যুক্তরাষ্ট্রের পুষ্টিবিদ এবং ‘ফাইনালি ফুল, ফাইনালি স্লিম’ বইয়ের রচয়িতা ড. লিসা ইয়ং বলেন, “রেস্তোরাঁয় গিয়ে বড় এক বাটি পাস্তা অর্ডার করে খেয়ে ফেললে কেউ আপত্তি করবে না। তবে তা পুরোটা একবারে খেয়ে ফেলাটা ওজনের নিয়ন্ত্রণের জন্য মোটেই ভালো হবে না।”
ইটদিস নটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “রেস্তোরাঁয় দেওয়া খাবারের পরিমাণ প্রায়শই বেশি থাকে যাতে ক্রেতারা ভাগাভাগি করে খেতে পারেন। তাই পুরোটা খাওয়া একজনের অতিরিক্ত হবে। বরং পাস্তার সঙ্গে আরও অর্ডার করুন সালাদ কিংবা সবজি ধরনের পদ। সবগুলো মিলিয়ে খাওয়ার পর বাকিটা প্যাকেট করে বাসায় নিয়ে যান আরেকদিন খাওয়ার জন্য।”
এতে দুবেলা বাইরের খাবার খাওয়া হল ঠিকই তবে পরিমাণে কম খাওয়া হল বলে ওজনের লাগামও টানা হল।
কোমল পানীয়
রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে কোমল পানীয়, শেইক, জুস ইত্যাদি নেওয়া হয়। সংস্কৃতিভেদে মদ্যপানের আয়োজনও থাকতে পারে।
যদি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বা কমাতে চান তবে যে কোনো চিনিযুক্ত পানীয় পানের ক্ষেত্রেই সাবধান হতে হবে। পানীয় খাবারের সঙ্গে পান করুন।
ইয়ং পরামর্শ দেন, “দুয়েক গ্লাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। আর মদ্যপান না করাই ভালো। পানীয়র সঙ্গে সোডা, সিরাপ ইত্যাদি কী মাত্রায় যোগ করা আছে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।”
খাওয়ার আগে খাওয়া
রেস্তোরাঁয় ভালো মন্দ খেতে যাবেন বলে অন্যবেলায় কম খাওয়ার অভ্যাসটা অনেকেরই আছে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে এই অভ্যাসটা হওয়া উচিত ঠিক উল্টো।
ইয়ং বলেন, “পেটে দুর্ভিক্ষ নিয়ে রেস্তোরাঁয় গেলে অবশ্যই প্রয়োজনের বেশি খাবার খেয়ে ফেলবেন নিজের অজান্তেই। ফলে ওই একবেলার খাবার কয়েকদিনের স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের উপকারিতা নষ্ট করে দেবে। তাই বাইরের খাবার খাওয়ার আগে অন্য কিছু খেয়ে নিয়ে ক্ষুধা কমিয়ে দিতে হবে।”
কোনো বেলায় না খেয়ে থাকাও অনেকসময় ওজন কমানোর বদলে উল্টো বাড়িয়ে দেয়। পরের বেলায় অতিরিক্ত খাবার খেয়ে ফেলা হয়।
শুরু করুন সালাদ কিংবা সুপ দিয়ে
ভারি খাবার রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে শুরুতে স্বাস্থ্যকর এবং হালকা খাবার যেমন সুপ, সালাদ ইত্যাদি অর্ডার করতে হবে। এতে ক্ষুধা কিছুটা উপশম হবে। ফলে ‘মেইন কোর্স’য়ের ভারি খাবার কম খাওয়া হবে। এভাবেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে।
আরও পড়ুন