স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরেও ওজন কমানোতে বাধা সৃষ্টি হতে পারে।
Published : 05 Sep 2022, 04:32 PM
ভুল খাবার নির্বাচন করলে দেহের বাড়তি ওজন নাও কমতে পারে।
স্বাস্থ্যকর, দীর্ঘমেয়াদী, টেকসই উপায়ে ওজন কমানোর চেষ্টা করা কখনও কখনও হতাশাজনক প্রক্রিয়া হতে পারে। কারণ প্রত্যেকেরই নিজস্ব চাহিদা রয়েছে। ইচ্ছাশক্তি ছাড়া যেমন লক্ষ্যে পৌঁছানোর জাদুকরি কোনো উপায় নেই তেমনি দেহ ঠিক কি চায় এবং কতটা পরিবর্তন আনা উচিত তার ভিত্তিতে ওজন কমানোর সফলতা অনেকটাই নির্ভর করে।
অনেকসময় এসব পরিবর্তনও ওজম কমানোতে আশানূরূপ ফল দেয় না।
অতিরিক্ত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
খাবার কেবল পছন্দসই নয় বরং পুষ্টিকরও হওয়া উচিত। পুষ্টিবিদেরা খাবারের ক্যালরির পরিমাণ পরিমাপ করে খাওয়ার পরামর্শ দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘দ্যা স্পোর্টস নিউট্রিশন প্লে বুক’য়ের লেখক এবং ইটদিস নটদ্যাট ডটকম’য়ের ‘এক্সপার্ট মেডিকেল বোর্ড’য়ের সদস্য পুষ্টিবিদ এমি গডসন বলেন, “বাদাম, বাদামের মাখন, হামাস, অ্যাভোকাডো ইত্যাদি পুষ্টিসমৃদ্ধ এবং এগুলোতে রয়েছে স্বাস্থ্যকর চর্বি ও ক্যালরি যা কার্বোহাইড্রেইট বা প্রোটিনের চেয়ে বেশি।”
তিনি আরও বলেন, “অনেকেই ওজন কমাতে পুষ্টিকর খাবার খেয়ে থাকেন। তবে পরিমাণ পরিমিত হয় না। ফলে বারতি খাবার খাওয়া হয়। যা ওজন বাড়ায়। তাই পরিমিত পরিমাণে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।”
পর্যাপ্ত প্রোটিন না খাওয়া
সারাদিন পর্যাপ্ত প্রোটিন খাওয়া জরুরি। বিশেষ করে যারা ওজন কমাতে চাচ্ছেন তাদের জন্য।
প্রোটিন ওজন কমাতে উপকারী। কারণ এটা চর্বি কমাতে এবং পেশি গঠনে সহায়তা করে। কিন্তু অনেকেই পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ করেন না বলে জানান, ‘গো ওয়েলনেস’য়ের লেখক কোর্টনি ডি’অ্যাঞ্জেলো।
নিউ ইয়র্ক’য়ের এই পুষ্টিবিদ বলেন, “প্রোটিনের মুরগির বুকের মাংস, টার্কি, চিকেন সসেজ, মাছ, ইত্যাদি খাওয়া উপকারী। প্রোটিন-জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে অস্বাস্থ্যকর খাবার, বাড়তি ক্যালরি, চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার ঝুঁকি কমায়।”
অতিরিক্ত তেলে রান্না করা
ওজন কমাতে খাবার রান্নায় কতটা তেল ব্যবহার করা হচ্ছে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ব্যালেন্স ওয়ান সাপ্লিমেন্টস’য়ের নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ টিস্টা বেস্ট বলেন, “খাবারের ক্যালরির ঘনত্ব ও দ্রুত বাড়াতে ভূমিকা রাখে এমন একটি উপাদান হল তেল।”
খাবারে তেল গ্রহণের সঙ্গে ক্যালরি গ্রহণের মাত্রা কমাতে পরিমাণ মতো তেল খাওয়া উচিত। তাই রান্নায় বোতলের তেল ব্যবহারের পরিবর্তে বরং তেল স্প্রে করা উপকারী।
অস্বাস্থ্যকর মসলা ব্যবহার
ডি’অ্যাঞ্জেলো বলেন, “অনেক সময় এমন মসলা ব্যবহার করা হয় যা স্বাদ বাড়ায় ঠিকই তবে নিয়মিত খাওয়া ওজন কমানোর পথে বিশাল বাধা সৃষ্টি করে।”
উদাহরণ স্বরূপ, ডি’অ্যাঞ্জেলো বলেন, “সকালে প্যানকেকগুলোতে সিরাপ যোগ করা স্বাদ বাড়ায়, তবে এর অতিরিক্ত চিনি সারাদিনে আরও চিনি গ্রহণের চাহিদা বাড়ায়। একইভাবে দুপুর বা রাতের খাবারে বারবিকিউ সস বা কেচাপ খাওয়া বা কম চর্বির সালাদ ড্রেসিং, মেয়োনেইজ দেওয়া স্যান্ডউইচ অথবা মুরগিতে টার্কি সস যোগ করাও ওজন কমাতে বাধা দেয়।”
আরও পড়ুন