দুই মাস আগের এ পদক্ষেপ সোমবার প্রকাশ পায়।
Published : 21 Apr 2025, 03:47 PM
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারে ১০ জনের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তাদের পরিচয়পত্রের কার্যকারিতা স্থগিত করা হলেও সোমবার বিষয়টি প্রকাশ পায়।
শেখ হাসিনা ছাড়াও যাদের এনআইডি স্থগিত করা হয়েছে, তারা হলেন- ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন রেহানা সিদ্দিক, ভাগ্নি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক, ভাগ্নে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকও আছেন এ তালিকায়, যিনি রেহানার দেবর। তারিকের স্ত্রী শাহিন সিদ্দিক এবং তাদের মেয়ে বুশরা সিদ্দিকের এনআইডিও স্থগিত করা হয়েছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীরের মৌখিক নির্দেশনায় মাস দুয়েক আগে তাদের এনআইডি ‘লক’ করা হয়েছে। হুমায়ুন কবীর বর্তমানে এনআইডি নিবন্ধন নিয়ে অস্ট্রেলিয়া সফরে রয়েছেন।
এনআইডি লক হলে কী হয়? উত্তরে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সিস্টেম ম্যানেজার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, “এনআইডি লক হলে কার্ডটি আর ব্যবহার করা যায় না। এছাড়া মিথ্য তথ্য দিয়ে ভোটার হলে বা এনআইডি নিয়ে তদন্ত কাজ চললে তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এনআইডি লক করা হয়।
“অধিকাংশ সময় ভিভিআইপি অনেকের অনুরোধেও এনআইডি লক করা হয়, যাতে কেউ এনআইড’র অপব্যবহার করতে না পারে। তাদের অনুরোধে আবার আনলক করা হয়।”
এনআইডি লক থাকা অবস্থায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ভোট দিতে বা প্রার্থী হতে বাধা নেই জানিয়ে আশরাফ বলেন, “এনআইডি লক করা হলে ভোটারের তথ্য যেমন যাচাই করা সম্ভব নয়, তেমনই কোনোভাবেই এনআইডির তথ্য এডিট করাও সম্ভব হবে না।”
গত ১১ মার্চ শেখ হাসিনা, তার পরিবার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং আওয়ামী লীগের নামে ১২৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেয় আদালত।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট, সূচনা ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এবং আবু সিদ্দিক মেমোরিয়াল ট্রাস্টের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের তালিকায় রয়েছে।