মেইকআপ কতোটা সুন্দর হবে তা ভালোমানের প্রসাধনীর পাশাপাশি মেইকআপ কৌশলের উপর অনেকটা নির্ভর করে।
Published : 07 Mar 2015, 04:06 PM
রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে মেইকআপের প্রতিটি প্রসাধনী সঠিক ধাপ এবং ব্যবহার করার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে জানানো হয়। এই প্রতিবেদনে ওই বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো।
- মেইকআপের ক্ষেত্রে প্রথমেই মুখসাজানো উচিত নয়। কারন অনেক সময় চোখের মেইকআপ যেমন মাস্কারা বা আইলাইনার মুখে পড়তে পারে। সেটা পরিষ্কার করার জন্য ফাউন্ডেশন মুছে আবার প্রথম থেকে মেইকআপ করতে হবে।
এটা যেমন বিরক্তিকর তেমনি সময় সাপেক্ষ। তাই মেইকআপ করার সময় চোখের মেইকআপ প্রথমে করতে হবে।
“আর আইশ্যাডো লাগানোর সময় বিশেষত চোখ ‘স্মোকি’ করার সময় আইশ্যাডো চোখের চারপাশে ছড়িয়ে যেতে পারে।” বলেন যুক্তরষ্ট্রের প্রসাধনী তৈরি প্রতিষ্ঠান ‘কভারগার্ল’য়ের মেইকআপ আর্টিস্ট জেনিফার ফ্লেমিং।
তিনি আরও বলেন “এক্ষেত্রে চোখের মেইকআপ আগে করলে নতুন করে আবার ফাউন্ডেশন এবং কন্সিলার লাগাতে হবে না। ফলে সময়ও বাঁচবে।”
চোখ সাজানোর সময় আইশ্যাডো লাগানোর পর আইলাইনার ব্যবহার করতে হবে।
তবে “হাত কাঁপা বা অসাবধানতার কারণে কাজল বা আইলাইনার অসমান হয়ে গেল একই রংয়ের আইশ্যাডো দিয়ে কাজল কিছুটা ছড়িয়ে ঠিক করে নেওয়া যেতে পারে।” বলেন ফ্লেমিং।
চোখের সাজে পূর্ণতা আনতে মাস্কারা ব্যবহার করতে হবে সবার শেষে।
ফ্লেমিং বলেন, “মাস্কারা লাগানোর পর লাইনার বা কাজল ব্যবহার করলে শ্যাডো বা কাজল লেগে মাস্কারা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যা দেখতে বেমানান লাগবে।”
তারপর স্বাভাবিক নিয়মে মুখে ফাউন্ডেশন, কন্সিলার এবং পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। আর মুখের বিশেষ কিছু জায়গা ‘ফোকাস’ করতে চাইলে পাউডার লাগানোর পর ব্রোঞ্জার ব্যবহার করতে পারেন।
সাধারণত মুখের যে অংশগুলোতে সূর্যের আলো এসে পরে যেমন: চিকবোন, নাকের উপরিভাগ ইত্যাদি অংশে ব্রোঞ্জার ব্যবহার করা হয়।
আর ঠোঁট সাজাতে লিপস্টিক লাগানোর আগে লিপ-লাইনার লাগাতে হবে। এতে ঠোঁটের ‘শেইপ’ ঠিকভাবে বোঝা যাবে।” পরামর্শ দিলেন ফ্লেমিং।
ছবি: রয়টার্স।