কখন নাগাদ উদ্ধার কাজ শেষ হবে, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি জয়দেবপুর জংশনের স্টেশন মাস্টার।
Published : 04 May 2024, 12:36 AM
গাজীপুরের জয়দেবপুরে তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় লাইনচ্যুত বগি ১২ ঘণ্টায়ও উদ্ধার করা যায়নি। এ ঘটনায় রেলওয়ে পুলিশ একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে।
কখন নাগাদ উদ্ধার কাজ শেষ হবে, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি জয়দেবপুর জংশনের স্টেশন মাস্টার হানিফ মিয়া।
শুক্রবার সকাল ১০ টা ৫০ মিনিটের দিকে জয়দেবপুর স্টেশনের অদূরে উত্তরবঙ্গগামী তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে ঢাকাগামী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনায় টাঙ্গাইল কমিউটারের ৫টি বগি দুমড়েমুচড়ে যায়, দুটি ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ১০টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এরপর থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুরের দিকে অন্য লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
স্টেশন মাস্টার হানিফ মিয়া বলেন, শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে ঢাকা থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। রাত ১১টা পর্যন্ত কাজ চলমান রয়েছে। কখন এই উদ্ধার তৎপরতা শেষ হবে বলা যাচ্ছে না।
তিনি জানান, উদ্ধার কাজের জন্য ঘটনাস্থলে ‘পাওয়াফুল লাইট’ লাগানো হয়েছে।
ইতোমধ্যে দুটি তেলের ট্যাংকার ছাড়াও ট্রেনের কোচ ও পাওয়ার কার উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়েছে। রাতেও ট্যাংকার ও বগি উদ্ধার সম্ভব হবে না বলে জানান তিনি।
ঢাকা (কমলাপুর) রেলওয়ে থানার ওসি ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস জানান, দুই ট্রেন দুর্ঘটনাসংক্রান্ত বিষয়ে রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
দায়িত্বে অবহেলার কারণে জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার মো. হাশেম, পয়েন্টম্যান সাদ্দাম হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তারা পালাতক আছেন।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও গাজীপুর জেলা প্রশাসন ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
এদিকে, দায়িত্বরত রেলওয়ে নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনের যন্ত্রাংশ ও তেল যেন খোয়া যেতে না পারে তার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
তার বিভাগের ২৫ জন ফোর্সসহ, গাজীপুর মহানগর পুলিশের ফিক্সড ও টহল টিম, র্যাব সদস্য, ২ প্লাটুন বিজিবি, আনসার সদস্য এবং রেলওয়ে পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন। তবে সন্ধ্যার দিকে বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে অন্যদের রেখে চলে যান।
আরও পড়ুন: