সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখায় উৎসবে কবি মীর আব্দুর রাজ্জাককে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
Published : 18 May 2024, 01:01 AM
নবীন-প্রবীণ কবি-সাহিত্যিক-সংস্কৃতিজনদের নিয়ে সাহিত্য উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে বগুড়ায়। সাহিত্য আলোচনা, স্বরচিত কবিতাপাঠ, সেমিনার, সম্মাননা প্রদানে জমজমাট হয়ে উঠেছিল দিনব্যাপী এ উৎসব।
জেলার অন্যতম চারটি সাহিত্য সংগঠন পাঠকপণ্য পাঠশালা, শব্দকথন, প্রকাশ শৈলী ও শিশুদের পত্রিকা কুঁড়ির আয়োজনে শুক্রবার সকাল ১০টায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘বগুড়া সাহিত্য উৎসবে’র উদ্বোধন হয়।
উদ্বোধন করেন বগুড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাট্যজন তৌফিক হাসান ময়না। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলা কবিতার সত্তর দশকের অন্যতম কবি ও সাহিত্যের কাগজ ‘অরণি’ সম্পাদক প্রকাশক কবি মাহমুদ কামাল।
কবি মীর আবদুর রাজজাকের সভাপতিত্বে উৎসবে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কবি মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, কলামিস্ট মনতেজার রহমান মন্টু, সংশপ্তক থিয়েটারের সভাপতি আব্দুল্লাহেল কাফী তারা।
আরও বক্তব্য রাখেন পাঠকপণ্য পাঠশালার সাধারণ সম্পাদক কবি জয়ন্ত দেব, শব্দকথন সম্পাদক এইচ আলিম, প্রকাশ শৈলীর পরিচালক লুবনা জাহান, কুঁড়ি সম্পাদক আব্দুল খালেক।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পর ‘লিটলম্যাগই সাহিত্যচর্চার আঁতুর ঘর’ বিষয়ে সেমিনারে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন এ্যালবাম সম্পাদক মনজু রহমান, কবি শিবলী মোকতাদির, কবি ও সম্পাদক অচিন্ত্য চয়ন, কবি মাহফুজ মুজাহিদ, কবি ও সম্পাদক রবু শেঠ।
অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন নওগাঁ, রংপুর, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর, ঢাকা, বগুড়া, পাবনা, নাটোর, জয়পুরহাট, টাঙ্গাইল, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন জেলার অর্ধশতাধিক কবি।
কবি জয়ন্ত দেবের সভাপতিত্বে বিকালে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষাবিদ প্রফেসর সামস উল আলম জয়। বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি রাহমান ওয়াহিদ, কবি রাববানী সরকার, দৈনিক উত্তরের দর্পণ পত্রিকার সম্পাদক আব্দুস সালাম বাবু।
উৎসবে কবি মীর আব্দুর রাজ্জাককে সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখায় সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সাহিত্যমুখি করে তুলতে হবে। তরুণদের মাঝে সাহিত্য চেতনাকে ছড়িয়ে দিয়ে এই অঞ্চলের সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করতে হবে। সাহিত্য ছাড়া দেশ-জাতির সমৃদ্ধ কল্পনা করা যায় না কিংবা দেশাত্মবোধও সৃষ্টি হয় না। তাই এমন সাহিত্য উৎসব হতে হবে জেলায় জেলায়, গ্রামে গ্রামে।