চুল স্টাইল করতে এক ধরন আবার জট ছাড়িয়ে চুল সুন্দর করে আঁচড়াতে আরেক ধরনের ব্রাশ বা চিরুনি প্রয়োজন।
Published : 03 Feb 2015, 04:53 PM
বাজারে এখন অনেক ধরনের ব্রাশ এবং চিরুনি পাওয়া যায়। অথচ অনেকেরই জানা নেই ব্রাশের আকার ও দাঁতের ধরন অনুসারে রয়েছে আলাদা আলাদা কাজ।
রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে ব্রাশ এবং চিরুনির কিছু রকমফেরের বিষয় উল্লেখ করা হয়।
সিনথেটিক ব্রিসল ব্রাশ
যাদের মাথায় অনেক চুল তাদের জন্য খুবই ভালো সিনথেটিক ব্রিসলের ব্রাশ। মূলত নাইলন দিয়ে এই ব্রাশের ব্রিসলগুলো তৈরি হয়।
সাধারণ ব্রিসলের ব্রাশ
এই ব্রাশের ব্রিসলগুলো খুবই নরম হয়। তাই এই ব্রাশ দিয়ে চুল আঁচড়ানোর ফলে মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেল পুরো চুলে ছড়িয়ে পরে। চুল ঝলমলে দেখায়। সাধারণত এই ব্রাশগুলো লোম দিয়ে তৈরি হয়। তবে আসল লোমের তৈরি ব্রাশগুলো ব্যবহার চুলের জন্য ভালো হলেও তা বেশ দামি হয়ে থাকে।
মিশ্র ব্রিসলের ব্রাশ
ঝলমলে চুল আর সুন্দর পরিপাটিভাবে আচরাণো চুল, দুটোই যদি পছন্দ হয় তাহলে মিশ্র ব্রিসলের ব্রাশ বেছে নেওয়া যেতে পারে। বেশিরভাগ হেয়ারস্টাইলিস্টরাই এই মিশ্র ব্রাশ বেছে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
প্যাডল ব্রাশ
প্রতিদিন ব্যবহারের জন্য এই ব্রাশ আদর্শ। চুলে আলাদা ভলিউম যুক্ত করে এই ব্রাশ। তাছাড়া জট ছাড়িয়ে চুল সেট করতেও এই ভালো কাজে দেয়।
ভেন্টেড ব্রাশ
ভেজা চুল শুকানোর সময় এই ব্রাশ ব্যবহার করা হয়। ভেজা চুল দুর্বল থাকে। তাই এই ব্রাশ চুল ছিড়ে বা ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা কমায়। তাছাড়া অতিরিক্ত তাপ থেকেও বাঁচায় এই চুল।
চুল শুকানোর সময় একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। শতকরা আশি ভাগ চুল শুকিয়ে নিতে হবে যেন চুল দেখতে শুকনা নে হলেও কিছুটা ভেজাভাব থাকে।
গোলাকার ব্রাশ
চুলে ফোলাভাব বা ভলিউম আনতে চাইলে এবং চুলে কিছুটা কোঁকড়াভাব তৈরি করতে চাইলে গোলাকার ব্রাশ বেছে নেওয়া যেতে পারে। বিভিন্ন আকারের গোলাকার ব্রাশ পাওয়া যায়। ছোট ছোট কার্ল চাইলে চিকন ব্রাশ এবং বড় কার্ল চাইলে বড় আকারের গোল ব্রাশ বেছে নেওয়া যেতে পারে।
টিজিং ব্রাশ
মাথার উপরের অংশে কিছুটা চুল ফুলিয়ে বাঁধার ফ্যাশন এখন বেশ জনপ্রিয়। আর চুল ফোলানোর জন্য চিরুনি দিয়ে চুল টিজ করা হলে চুল ছিড়ে বা ভেঙে যেতে পারে। তাই নরম ব্রিসলসের এই টিজিং ব্রাশগুলো চুলের বাড়তি ক্ষতি না করেই চুল স্টাইল করতে সাহায্য করবে।
বড় দাঁতের চিরুণি
ভেজা চুল আচরানো উচিত নয়। তবুও যদি একান্তই প্রয়োজন হয় তবে বড় ও ফাঁকা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিলে চুল পড়ার সম্ভাবনা কম থাকবে। এই ব্রাশ ব্যবহারে চুলের জটও ছাড়ানো সহজ হয় এবং চুল ছিড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকে
ওয়েট ব্রাশ
ভেজা চুলে চিরুণি দিতে পছন্দ না হলে এই ধরনের ব্রাশ ব্যবহার করা যায়। এর ব্রিসলগুলো চিরুনির মতোই শক্ত হয় তাই অন্য ব্রাশের মতো চুলে টান পড়ে না।
র্যাটেইল চিরুনি
লম্বা হাতলের চিকন এই চিরুনি চুলে সিঁথি কাটতে কাজে দেয়। তাছাড়া চিকন দাঁতের জন্য চুল ফোলানো থেকে শুরু করে পেঁচানো স্টাইল করা যায়।