পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরও অনেক সময় রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে।
Published : 29 Jan 2020, 06:13 PM
রক্তে যাতে শর্করার মাত্রা না কমে সেজন্য উপায় হল নিয়মিত পুষ্টিগুণে ভরপুর খাবার খাওয়া। প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের মধ্যে থাকতে হবে প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ‘কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেইট।
রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গেলে ক্ষুধাবোধ হওয়ার পাশাপাশি মেজাজ খারাপসহ নানান রকম লক্ষণ দেখা দেয়। আর ডায়াবেটিসের সমস্যা না থাকার পরও এই সমস্যা হতে পারে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হল বিস্তারিত।
সিদ্ধান্তহীনতা: শর্করা শরীরের কর্মশক্তির অন্যতম প্রধান উৎস, যার অর্ধেকটাই ব্যবহার হয় মস্তিষ্কে। তাই রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গেলে মস্তিষ্ক মনোযোগ ধরে রাখার ক্ষমতা হারায়। ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া দুষ্কর হয়ে ওঠে। এজন্য প্রতিবেলা খাওয়ার মধ্যবর্তী সময়ে হালকা ‘স্ন্যাকস’ বা নাস্তা খাওয়া যেতে পারে। তবে পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের দিকে থাকা চাই কড়া নজর। এতে মস্তিষ্ক তার স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার রসদ পাবে।
অতিরিক্ত ঘাম: গরমের দিনে কিংবা শরীরচর্চার পর ঘাম হওয়া স্বাভাবিক। তবে সামান্য গরমে কিংবা বিনা পরিশ্রমেই অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার পেছনে কারণ হতে পারে রক্তে শর্করার কমতি। এমনটা হলে দ্রুত কিছু খেতে হবে। সকালবেলা এই সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। কারণ রাতে ঘুমানোর সময় শর্করার মাত্রা নিচে নেমে যেতে পারে অনায়াসে।
মধ্যরাতে ঘুমে ব্যাঘাত: দুঃস্বপ্ন দেখার মতো রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গেলেও গভীর রাতে ঘুম ভেঙে যেতে পারে। রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ার ঘটনা যদি নিয়মিত হয়ে যায় তবে এর পেছনে শর্করার ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। কারণ, রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গেলে নিঃসৃত হয় মানসিক চাপ সৃষ্টির পেছনে দায়ী হরমোন। এতে শরীর সতর্ক হয়ে ওঠে এবং ঘুম ভেঙে যায়।
মেজাজের তারতম্য: প্রায়শই ‘মুড সুইং’ হওয়ার একটি কারণ হতে পারে রক্তে শর্করার ঘাটতি। এই মন খুশি তো খানিক বাদেই বিষণ্নতা বোধ। বেশি মাত্রায় ‘মুড সুইং’ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া: হৃদস্পন্দনের গতি কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই স্বাভাবিকের চাইতে বেড়ে গেলে রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করানো উচিত। সমস্যা সমাধানের তড়িৎ উপায় হল ফল খাওয়া কিংবা ফলের রস পান করা।
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন