মিষ্টির কারণে ডায়াবেটিস হয় না

বেশি মিষ্টি খেলে ডায়াবেটিস হবে- যাদের মিষ্টি পছন্দ এই কথা তাদের প্রায়ই শুনতে হয়। তবে  ডায়াবেটিস সম্পর্কে যারা জানেন তাদের কাছে ব্যাপারটা হাস্যকর মনে হতে পারে। কারণ মিষ্টি খেলে ডায়াবেটিস হয় এই ভুল ধারণা নিয়ে বসে আছেন এরকম মানুষ নেহাত কম নয়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 July 2018, 10:01 AM
Updated : 2 July 2018, 10:02 AM

ডায়াবেটিস সম্পর্কে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সের মেডিসিন বিভাগের পরামর্শদাতা ডা. কামরুল হাসান (বিসিএস স্বাস্থ্য)।

মিষ্টি বা চিনি কোথায় থাকে

সবজি, ফল এবং দুগ্ধজাত খাবারে প্রাকৃতিকভাবে শর্করা মেলে, যা খেলে আমাদের শরীরেও শর্করা প্রবেশ করে। আবার পানীয় বা খাবারে আমরা যে চিনি যোগ করি তা হল ‘অ্যাডেড সুগার’ যার মধ্যে অন্যতম হল চা, কফি বানাতে আমরা যে চিনি ব্যবহার করি। আরেক ধরনের চিনি হল ‘ক্যাস্টার সুগার’ যা প্যাকেটজাত খাবারে লুকিয়ে থাকে।

ডায়াবেটিস ও চিনি

ডায়াবেটিস দুই ধরনের-টাইপ ওয়ান এবং টাইপ টু। দুটোর মধ্যে তফাৎ হল টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসে ইন্সুলিন প্রস্তুতকারী কোষগুলো আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার হাতে ধ্বংস হয়ে যায় আর টাইপ টু ডায়বেটিসে অগ্ন্যাশয়ে ইন্সুলিন তৈরি হয়, তবে শরীর তা কাজে লাগাতে পারে না। আর দুটোর কোনোটাই মিষ্টি কিংবা শর্করা খাওয়ার কারণে হয় না।

তবে টাইপ টু ডায়বেটিসের সঙ্গে ‘ওবেসিটি’ বা অতিরিক্ত ওজনের সম্পর্ক রয়েছে। যার কারণ হতে পারে অলস জীবনযাত্রা, অতিরিক্ত জাঙ্কফুড খাওয়া ইত্যাদি। ফলে খাবারে লুকিয়ে থাকা চিনির সঙ্গে টাইপ টু ডায়বেটিসের একটি পরোক্ষ সম্পর্ক থাকে।

তাই মিষ্টিজাতীয় ফাস্টফুড বা পানীয় টাইপ টু ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।

“তবে টাইপ টু ডায়াবেটিস এত সহজ নয় আর চিনিই এর একমাত্র কারণ নয়।” বললেন রাজধানীর বারর্ডেম হাসপাতালের সাবেক এই চিকিৎসক ডা. কামরুল।

ডায়াবেটিস রোগীরা কি চিনি খেতে পারবে?

ডায়াবেটিস হলেই যে চিনিকে তালাক দিতে হবে এমন কোনো কথা নেই। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরিমাণ মতো চিনি খাদ্যাভ্যাসে থাকলে ক্ষতি নেই।

এমনকি রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গেলে অনেক সময় চিকিৎসকরাই ’গ্লুকোজ ট্যাবলেট’ দেন।

ওয়ার্ল্ড হেল্থ ওর্গানাইজেশনের মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক ডায়াবেটিস রোগী যার বডি ম্যাস ইনডেক্সের মাত্রা স্বাভাবিক, সে প্রতিদিন ছয় টেবিল-চামচ চিনি খেতে পারবেন।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন