একা ধূমপান ত্যাগ করার তুলনায় জুটি বেঁধে ধূমপান ত্যাগ করার চেষ্টায় সফলতা বেশি।
Published : 17 Apr 2019, 06:08 PM
আসক্তির কারণে ধূমপান ছাড়তে ব্যর্থ হওয়ার ঘটনা খুবই সাধারণ। তবে গবেষণা বলছে, সফলতার সম্ভাবনা বাড়বে যদি জুটি বেঁধে মাঠে নামেন।
‘ইউরোপ্রিভেন্ট ২০১৯’য়ে প্রকাশিত এই গবেষণার তথ্য মতে, একা ধূমপান ত্যাগ করার তুলনায় জুটি বেঁধে ধূমপান ত্যাগ করার চেষ্টায় সফল হওয়ার সম্ভাবনা ছয় গুন বেশি।
ব্রিটেইনের ‘ইম্পেরিয়াল কলেজ ইন লন্ডনে’য়ের গবেষক মাগদা ল্যাম্প্রিদো বলেন, “ধূমপান বর্জন করাটা কিন্তু বেশ নিঃসঙ্গ একটি কাজ। অফিসের সহকর্মীদের ধূমপান বিরতির সময় তাকে একা বসে থাকতে হবে, বন্ধুদের আড্ডায় অন্যরা ধূমপান করলেও সে করবেনা। এমন সময়গুলোতে সবার মাঝে থেকেও নিজেকে একা মনে হতে পারে। আর সেই সঙ্গে নিকোটিন আসক্তির তাড়না তো আছেই। তবে দুজন ধূমপায়ী একসঙ্গে জুটি বেঁধে ধূমপান ত্যাগের চেষ্টা করলে এই সময়গুলোতে তারা একে অপরকে সঙ্গ দিতে পারবে। এই জুটি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে হলে সবচাইতে কার্যকরী হবে, তবে বন্ধু কিংবা সহকর্মীদের মাঝেও তা হতে পারে। নিজেরা মিলে আসক্তি থেকে দূরে থাকার জন্য বিভিন্ন কাজ তারা করতে পারবেন, যেমন সিনেমা দেখা, বেড়াতে যাওয়া, শরীরচর্চা ইত্যাদি।”
এই গবেষণায় অংশ নেয় ২২২ জন ধূমপায়ী। এদের সবাই হয় হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় আছেন, নয়ত ইতোমধ্যেই ‘হার্ট অ্যাটাক’য়ের শিকার হয়েছেন। ধূমপান ত্যাগ করতে স্বামী কিংবা স্ত্রী অথবা একসঙ্গে বসবাসকারীরা কিরূপ সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে সেটা পর্যবেক্ষণ করাই ছিলো এই গবেষণার উদ্দেশ্য।
এই জুটিগুলো গবেষকদের তত্ববধানে ১৬ সপ্তাহের ‘প্রিভেন্টিভ কার্ডিওলজি প্রোগ্রাম’য়ে যোগ দেন, যেখানে তাদেরকে দেওয়া হয় নিকোটিনের আসক্তি নিয়ামক ‘প্যাচ’ ও ‘গাম’। ১৬ সপ্তাহ শেষে দেখা যায়, ৬৪ শতাংশ ধূমপায়ী আর ৭৫ শতাংশ জুটি ধূমপান ত্যাগ করতে সফল হয়েছেন। এই অংশগ্রহনকারীরাই একা ধূপমান ছাড়ার চেষ্টা করা সময় সফলতা ছিলো শূন্য। আর জুটি বেঁধে সফলতা হার এর আগে ছিলো ৫৫ শতাংশ।
‘ইউরোপিয়ান সোসাইটি অফ কার্ডিওলজি (ইএসসি)’য়ের ‘‘কার্ডিওভাস্কুলার প্রিভেনশন গাইডলাইন’ যেকোনো উপায়ে তামাক গ্রহনকে বর্জন করার পরামর্শ দেয়। আর যারা ধূমপান ত্যাগ করতে পারে তাদের হৃদরোগের আশঙ্কা কমে যায় প্রায় অর্ধেক।
ল্যাম্প্রিদো বলেন, “যেসকল ধূমপায়ী শারীরিকভাবে সুস্থ্য তাদের ক্ষেত্রে ধূপমান ছাড়তে জুটি বাঁধা কতোটা কার্যকরী সেবিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।”
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন