দুই ধরনের বাদামই বেশ উপকারী। তবে একটা যদি ওজন কমাতে সাহায্য করে তো অন্যটা দরকার মস্তিষ্কের জন্য।
Published : 10 Aug 2016, 04:46 PM
খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের উপর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে পুষ্টিবিজ্ঞানের বিভিন্ন তথ্য নিয়ে জানানো হয়, আখরোট এবং কাঠবাদামের মধ্যে একটিকে বেছে নিতে হলে প্রথমে জানতে হবে বাদাম থেকে আসলে কোন পুষ্টিটা আমরা নিতে চাইছি।
ওজন কমানো: ওজন কমাতে বাদামের জুড়ি মেলা ভার। কেননা বাদামে উদ্ভিজ্জ আমিষ এবং আঁশ আছে। এছাড়াও বাদাম শরীরবৃত্তীয় কর্মকাণ্ড দ্রুত করে। ফলে বেশি ক্যালরি খরচ হয়। একটি মেডিকেল জার্নালের সূত্র মতে যারা খাদ্য তালিকায় কাঠবাদাম রাখেন তাদের ওজন কমার হার যারা কাঠবাদাম খায়নি তাদের থেকে ৬৫ শতাংশ বেশি।
তাই যদি ওজন কমানোর ইচ্ছা মনে থাকে তবে অবশ্যই কাঠবাদাম খেতে হবে।
আলৎঝাইমার’স প্রতিরোধ: কাঠবাদাম, আখরোট এবং হেইজেল নাট খেলে মস্তিষ্কের কার্যকরিতা ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। গবেষণায় দেখা যায়, যে সব মানুষের শরীরে আলৎঝাইমার’স নামক স্মৃতি লোপ পাওয়া রোগের জিন রয়েছে তারা যদি নিয়মিত বাদাম খান তবে এ রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আখরোটে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় অধিক সহায়তা করে।
তাই স্মৃতি সুরক্ষিত রাখতে চাইলে আখরোটই বেছে নেওয়া উচিৎ।
হৃদয়কে সুরক্ষা করা: গবেষকরা জানান, নিয়মিত বাদাম খেলে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ জনিত সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা ৪০ শতাংশ কম থাকে। কাঠবাদাম এবং আখরোট দুটোই খারাপ কোলেস্টরেলকে কম রাখে। পাশাপাশি ট্রাই গ্লিসারাইড, রক্ত চাপ, রক্তের শর্করার মাত্রা এবং রক্তের প্রদাহ মাত্রা কমায়।
গবেষণাগুলো নির্দেশ করে সব ধরণের বাদামেই এই সুফলগুলো পাওয়া যায়। একদিকে যেমন কাঠবাদাম থেকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন-ই এবং ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়, অপরদিকে আখরোটে আছে রক্তের প্রদাহরোধী ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড।
তাই হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে দুই ধরনের বাদামই প্রয়োজন।
ছবি: রয়টার্স।