একসাথে একাধিক কাজ মানসিক চাপ বাড়ায়। আর মানসিক চাপ ত্বকের বড় শত্রু।
Published : 23 Aug 2023, 05:38 PM
দিন শেষে সঠিক যত্ন নিলে ত্বক সুস্থ থাকার পাশাপাশি সৌন্দর্য ও উজ্জ্বলতা বাড়ে।
তবে কাজের জন্য যেসব নারীদের বাইরে সময় দিতে হয় তাদের দরকার বাড়তি যত্ন।
হেল্থশটস ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে কর্মজীবী নারীদের ত্বকের যত্ন নেওয়ার উপায় সম্পর্কে জানানো হল।
প্রতিদিন মেইকআপ ব্যবহার এড়িয়ে চলা
দিনে আট ঘন্টার বেশি সময় মেইকআপ ত্বকে রাখা ক্ষতিকর। অফিসে মেইকআপ করে গেলে এবং ৯ থেকে দশ ঘণ্টা মেইকআপ মুখে থাকলে রাসায়নিক উপাদান লোমকূপের মধ্য দিয়ে ত্বকের ভেতরে গিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
তাই অফিসে যাওয়ার সময় ভারী মেইকআপের পরিবর্তে হালকা কোনো প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত।
ত্বককে মাঝে মধ্যে শ্বাস নিতে দেওয়া প্রয়োজন।
মেইকআপ করে বাইরে গেলে বাসায় ফিরে অবশ্যই ভালো মতো পরিষ্কার করে নিতে হবে। আর আর্দ্রতা ধরে রাখতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেতে হবে।
বাইরে যাওয়ার সময় সানব্লক ব্যবহারের কথা ভোলা যাবে না।
বাসায় ফিরে মুখ ধোয়া
দূষণ ও পরিবেশের অন্যান্য বিষয় ত্বকে ময়লা ও জীবাণুর মাত্রা বাড়ায়। ত্বক পরিষ্কার করা না হলে এতে দেখা দেয় নানান সমস্যা।
বাইরে থেকে ফিরে উন্নত মানের ফেইসওয়াশ ব্যবহার করে মুখ ধোয়া জরুরি। এতে ত্বক সুরক্ষিত থাকবে।
সানস্ক্রিন ব্যবহার বাদ দেওয়া যাবে না
প্রতিদিন সানস্ক্রিন ব্যবহার করা আবশ্যক। বাইরে যাওয়ার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। আর তিন-চার ঘণ্টা পর পর পুনরায় মাখতে হবে।
বর্ষাকালে বা মেঘলা দিনেও সূর্যরশ্মি ত্বকের ক্ষতি করে। ফলে দেখা দেয় ‘পিগ্মেন্টেইশন ও অ্যালার্জির সমস্যা। তাই সচেতন থাকা জরুরি।
পর্যাপ্ত ঘুম
ঘুমের ঘাটতি ত্বকের ক্ষতি করে। রাতে দেরিতে ঘুম ও সকালে অফিসের জন্য তাড়াতাড়ি ওঠা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
রাতে ত্বক পুনর্গঠিত হয়। তাই ঘুমের ঘাটতি ত্বকের জন্য ভালো নয়। সঠিকভাবে ত্বক পুর্গঠিত না হলে ত্বকের সমস্যার মাত্রা আরও বৃদ্ধি পায়।
রাতে ত্বক পরিচর্যার রুটিন মেনে চলা
গবেষণায় দেখা গেছে, ত্বক রাতে পুনর্গঠিত হয়। তাই এই সময়ে ত্বকের পরিচর্যা করা ফলপ্রসু।
ত্বক প্রথমে ভালো মতো পরিষ্কার করে টোনার দিয়ে মুছে হালকা চাপ দিয়ে সেরাম মেখে নিতে হবে। এরপর নাইট ক্রিম ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
নিয়মিত এই পদ্ধতি মেনে চললে কয়েকদিনের মধ্যেই ভালো পরিবর্তন দেখা যাবে।
এক্সফলিয়েট করা
এক্সফলিয়েট ত্বকের মৃত কোষ দূর করে মসৃণ ও উজ্জ্বলভাব আনে। নিয়মিত এক্সফলিয়েট করলে ত্বকের জটিলতা কমে, উজ্জ্বলতা ও কোমলতা বাড়ে।
মৃদু বা ঘরে তৈরি স্ক্রাব সপ্তাহে দুবার ব্যবহারে ত্বকের পরির্তন চোখে পড়বে।
রাসায়নিক উপাদান মুক্ত ঘরে তৈরি পণ্য ব্যবহার
অনেক অর্থ ব্যয়ে রাসায়নিক উপাদানে তৈরি প্রসাধনী না কিনে বরং প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা প্রয়োজন। রাসায়নিক উপাদান সাময়িক উজ্জ্বলতা আনলেও দীর্ঘমেয়াদে সেটা ক্ষতি করে।
ময়দা, ওটস, মধু, ডাবের পানি ব্যবহার ত্বকের সমস্যা কমিয়ে উজ্জ্বল আভা আনতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন
বাইরে খেয়েও ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখার উপায়