বিকেল বেলার শ্রান্তি কাটাতে পারে স্বাস্থ্যকর নাস্তা।
Published : 11 Jan 2024, 01:46 PM
দিনের মধ্যভাগ পার হতেই কেমন জানি নিস্তেজ লাগে! মনে হয় শরীর আর চলে না!!
বিশেষ করে শীতের সময় দুপুরের পরের সময়টা কেমন ম্রিয়মান মনে হতে থাকে। এরকম অনুভূতির শিকার যদি আপনিও হন তবে জেনে রাখুন, আরও অনেকের মাঝেই এই ভাবের উদয় হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য-বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘সেকেন্ড ন্যাচার স্ন্যাক্স’য়ের অর্থায়নে ‘ওয়ানপোল’য়ের করা এক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, সাধারণত দুপুর তিনটার পরে বৈকালিক মন্দাভাব মানুষের মাঝে দেখা দেয়। আর সেটা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে ২৯ মিনিট পর্যন্ত।
আবার প্রতিদিন এই অনুভূতি দেখা দেয় না। এককদিনের প্রভাব একেক রকম। সাপ্তাহিক ছুটি শেষে প্রথম কর্ম দিবসের চাইতে দ্বিতীয় দিন দুপুরের পরে ক্লান্তিভাব বেশি কাজ করে।
পর্যবেক্ষণের ফলাফলের বরাত দিয়ে রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়- এর কারণ হতে পারে, ছুটি শেষে ফুরফুরে মেজাজ নিয়ে বেশি কাজ করার ফলে পরদিন দ্রুত শ্রান্ত বোধ করা।
বিকালে শ্রান্ত লাগার প্রধান কারণ
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৭৪ শতাংশই জানিয়েছেন, তাদের অন্তত সপ্তাহে একদিন বৈকালিক মন্দাভাবের উদয় হয়। কিন্তু এর পেছনের কারণ কী?
বেশিরভাগ অংশগ্রহণকারী জানান, দুপুর তিনটার পরেই সাধারণত ক্লান্ত অবসন্ন অনুভূতি কাজ করে। আর ৫৬ শতাংশ মনে করেন এর কারণ হল পর্যাপ্ত ক্যাফেইন গ্রহণ না করা।
এর কাছাকাছি কারণ হিসেবে উঠে এসেছে পুরানো অনুভূতি থেকে বিষণ্ন হওয়া ও শক্তি না পাওয়া (৫৩ শতাংশ), ৫১ শতাংশ দায়ী করেছেন পর্যাপ্ত খাবার না খাওয়াকে। এছাড়া অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে দুপুরের পর ক্লান্তি লাগার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ৪১ শতাংশ।
জরিপে আরও উঠে এসেছে যে, শীতকাল এই অবস্থা তৈরি হওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ঠাণ্ডা পরিবেশ, সূর্যালোক কম থাকার কারণে বিকেলে মন্দাভাবের উদয় হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
এছাড়া ২৩ শতাংশ জানিয়েছেন- দীর্ঘসময় অলসভাবে বসে থাকার জন্য আর ২০ শতাংশ জানিয়েছেন দুপুরে বিশ্রাম না নেওয়ার কারণে বিকালে তাদের শ্রান্ত লাগা শুরু হয়।
এই মন্দাভাব থেকে বের হওয়ার কৌশল
শুধু কারণ নয়, দুপুরের পরে মন ও শরীর ভার হওয়া থেকে মুক্ত হতে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় সেসবও জানিয়েছেন জরিপের অংশগ্রহণকারীরা।
৫৮ শতাংশই এমন মন্দাভাব কাটাতে বাইরে থেকে হেঁটে আসেন। যা শরীর ও মন চাঙা করার উৎকৃষ্ট উপায়। ৫৫ শতাংশ জানান, খাবার খেলে তাদের মন্দাভাব কেটে যায় ভালো মতোই। ৪৯ শতাংশ বেছে নেন ব্যায়াম। এছাড়া ৪৭ শতাংশ ‘ন্যাপ’ বা ছোট ঘুম দিয়ে ওঠেন, ৪৫ শতাংশ ক্লান্তভাব কাটাতে নাস্তা করেন।
যারা খাবার খান বা নাস্তা করেন তারা বেছে নেন উচ্চ-প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। সেটা হতে পারে বিভিন্ন ধরনের বাদাম ও বীজ।
কিছুক্ষণ বিশ্রাম সঙ্গে স্বাস্থ্যকর নাস্তা করা হতে পারে দুপুরের পরে ক্লান্তভাব কাটানোর অন্যতম উপায়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৬৪ শতাংশই জানিয়েছেন- বিশ্রাম ও নাস্তার পর তাদের মাঝে কাজের অনুপ্রেরণা ফিরে আসে।
আর স্বাস্থ্যকর নাস্তা দুপুরের পরে কাজের গতি বাড়াতেও সাহায্য করে বলে জরিপের ফলাফলে দাবি করা হয়।
আরও পড়ুন