নিজের প্রতি সচেতন হলে মাতৃত্বের মতো বিশাল দায়িত্ব নিয়েও ছন্দময় মেজাজে থাকা যায়।
Published : 21 Apr 2025, 05:09 PM
মাতৃত্ব শুধু ভালোবাসা, হাসি, আর আদর নয়— এটা ক্লান্তি, উদ্বেগ, বিশৃঙ্খলা ও অগণিত দায়িত্বের সমন্বয়ে গঠিত এক পূর্ণ সময়ের কাজ।
এই বাস্তবতায় মায়ের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া প্রায় অসম্ভব মনে হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিনভর কাজের ভিড়ে মাত্র ৩০ সেকেন্ড সচেতনভাবে নিজের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করলে বা ‘মাইন্ডফুলনেস’য়ের চর্চায় মানসিক স্বস্তি ফিরে আসতে পারে।
এই বিষয়ে ‘কামডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে সান ফ্রানসিসকো নিবাসী চিকিৎসক ক্রিস মোসুনিক বলেন, “মা হিসেবে যতটুকু নিজের যত্ন নেওয়া যায়, সেটার প্রভাব সরাসরি সন্তান ও পরিবারের ওপর পড়ে। সচেতনতা বা মাইন্ডফুলনেস শুধু মানসিক বিশ্রাম নয়, এটি এক ধরনের মানসিক পুষ্টিও।”
মাইন্ডফুলনেস বা মনোযোগিতা কী ও কেন জরুরি?
সচেতনতা বা ‘মাইন্ডফুলনেস’ মানে হচ্ছে বর্তমান মুহূর্তে পুরোপুরি মনোযোগ দেওয়া, নিজের চিন্তা, অনুভূতি এবং শরীরের অবস্থান লক্ষ করা— কোনো বিচার বা প্রতিক্রিয়া ছাড়াই।
মায়েরা সাধারণত পরিবার, সন্তান ও কর্মজীবনের ভারে নিজেদের প্রয়োজনগুলো ভুলে যান। এই অবহেলা থেকে মানসিক অবসাদ, উদ্বেগ এমনকি বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
প্রতিদিনের ক্ষুদ্র কিছু সচেতন অভ্যাস সেই ভার কমিয়ে দিতে পারে।
উপকারিতা
চাপ ও উদ্বেগ কমায়: নিয়মিত সচেতনতার অনুশীলন স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করে এবং বর্তমান মুহূর্তে ফিরিয়ে আনে, ফলে উদ্বেগ অনেকাংশে কমে।
মনোযোগ ও স্পষ্টতা বাড়ায়: দিনভর নানান কাজের তালিকায় যাদের মন ছুটে বেড়ায়, তাদের জন্য মনোসংযোগ বৃদ্ধির দারুণ কৌশল হতে পারে সচেতনতা।
অভ্যন্তরীণ আবেগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার আগে একবার দম নেওয়ার অভ্যাস রেগে গিয়ে কথা বলা বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রবণতা কমায়।
নিজের প্রতি সহানুভূতি গড়ে তোলে: মা হিসেবে ভুল করলে নিজেকে দোষারোপ না করে বুঝতে শেখায় যে আপনি মানুষ, ভুল হতেই পারে।
আবেগগত সহনশীলতা বৃদ্ধি করে: কঠিন মুহূর্তে স্থির থাকতে সহায়তা করে এবং আবারও উঠে দাঁড়ানোর শক্তি দেয়।
ব্যস্ত মায়েদের জন্য ‘মাইন্ডফুলনেস’ আত্ম সচেতনতার উপায়
প্রতিদিনের কাজে সচেতনতা
দ্রুত আবেগ নিয়ন্ত্রণের অভ্যাস
শরীর সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলা
সন্তানদের সঙ্গে সংযোগে সচেতনতা
মনকে সতেজ করার ছোট ছোট কৌশল
আরও পড়ুন