ত্বক ও চুলের জন্য ক্ষতিকর অভ্যাস

বারবার চোখ ঘষা বা মাথা বেশি চুলকালেও ক্ষতি হতে পারে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Nov 2022, 06:50 AM
Updated : 7 Nov 2022, 06:50 AM

অভ্যাসে অনেক কিছুই করা হয়। অথচ সেগুলো যে ক্ষতি করতে পারে তা মাথায় থাকে না।

ত্বক ও চুলের ক্ষতি করতে পারে এমন টুকটাক অভ্যাস সবার মাঝেই কম বেশি আছে বলে মনে করেন নিউ ইয়র্ক’য়ের বোর্ড-প্রত্যয়িত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ লিন ম্যাককিনলে-গ্রান্ট।

ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি বলেন, “কাটা বা পোড়া জায়গায় হাত দেওয়া বা ঘষা ক্ষতিকর। একইভাবে নেইল পলিশ লাগিয়ে চোখ ঘষাও ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রথমটা সম্পর্কে সবাই জানলেও পরের বিষয়টা সম্পর্কে অনেকেই সচেতন নয়।”

নখের পাশের ত্বক টেনে তোলা

ডা. ম্যাককিনলে-গ্রান্ট বলেন, “নখের চারপাশের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হলে নখ আঁকাবাঁকা হয়ে যায়। তাই কিউটিকেল টানাটানি করলে বা কেটে ফেললে নখের আকারের ওপর প্রভাব পড়ে।”

ত্বকে চাপ না দিয়ে চুল তোলা

ভ্রু বা মুখের লোম তোলার ক্ষেত্রে ত্বকে চাপ প্রয়োগ করে টানটানভাবে রেখে লোম দূর করতে হবে। লোম তোলার ক্ষেত্রে আশপাশের ত্বক চাপ দিয়ে ধরার পরামর্শ দেন ডা. ম্যাককিনলি-গ্রান্ট। 

তিনি বলেন, “ত্বকের নিচের চর্বির স্তরে লোমকূপ থাকে। তাই ত্বক চাপ দিয়ে ধরে লোম তোলা হলে অপেক্ষাকৃত কম ব্যথা লাগে। আর দাগ কম হয়। ভূলভাবে লোম তোলা হলে গুরুতর দাগের সৃষ্টি হতে পারে।”

ওয়াক্স বা থ্রেডিং করা ভালো। তবে ভুল উপায়ে থ্রেড করা বা শেইভ করা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। কেননা এতে চুল সম্পূর্ণ উঠে না এবং লোমকূপের ভেতর চুল গজানোর সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

নখ দিয়ে মাথা চুলকানো

মাথার ত্বক চুলকালে তাতে নখ দিয়ে আঁচড় কাটা ঠিক নয়।

ডা. গ্র্যান্ট বলেন, “খুব জোড়ে চুলকালে মাথার ত্বকের সংক্রমণ হতে পারে। ফলে দেখা দেয় চুল পড়ার সমস্যা।”

এছাড়াও খুব জোড়ে আঁচড় কাটা হলে সেই ক্ষত স্থানে আর চুল নাও উঠতে পারে। তাই মাথার চুলকালে কোমলভাবে আঙ্গুল দিয়ে চুলকানোর পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।

মাথার ত্বকে খুব বেশি চুলকানোর সমস্যা থাকলে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।

“মাথার ত্বকে সিরোসিস থাকলে এবং সে সম্পর্কে অবগত না হলে অনেকেই কেবল খুশকির সমস্যা ভেবে বসে থাকেন। এক্ষেত্রে ঘন ঘন মাথা চুলকানো আরও ক্ষতি করে। তাই এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন,” বলেন তিনি।

নখ গোল রাখা

নখের কোণার অংশ বেশিরভাব মানুষই গোল রাখতে পছন্দ করেন। তবে পায়ের নখসহ অন্যান্য সব নখই সোজা কাটা উচিত। এতে করে নখের গোলাকার বাড়তি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।”

বার বার চোখ ঘষা

ডা. গ্র্যান্ট বলেন, “চোখের চারপাশের ত্বক পাতলা হওয়াতে এটা অনেক বেশি সংবেদনশীল। ফলে সহজেই ক্ষত তৈরি হতে পারে। চোখে বার বার ঘষার প্রয়োজন হলে বুঝতে হবে হয়ত অ্যালার্জি আছে। এটা পরিবেশ, নেইল পলিশ, মাস্কারা, আই ক্রিম এমনকি চোখের ড্রপ থেকেও হতে পারে।”

খুব জোরে চোখ ঘষা হলে তা চোখের চারপাশে কালো দাগের সৃষ্টি করতে পারে। ফলে চোখের নিচের চামড়া পুরু হয়ে যায়। তবে সেটা ভালো বিষয় নয়।

একে বলা হয় ত্বকের ‘লিশেনিফিকেইশন’। যার মধ্যে অনেক বলিরেখা থাকে; লম্বালম্বি ও আড়াআড়িভাবে।

আরও পড়ুন

Also Read: অভ্যাসে বাড়তি ওজন

Also Read: স্বাস্থ্যকর অভ্যাস থেকে প্রদাহ

Also Read: যেসব অভ্যাস নষ্ট করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

Also Read: প্রতিদিনের যেসব অভ্যাস দ্রুত বয়সের ছাপ ফেলে