এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৭১১ জনে।
Published : 10 Feb 2024, 04:32 PM
বাংলাদেশে গত একদিনে এইডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দৈনিক মৃত্যুর এই সংখ্যা এ বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর ২১ জনের মৃত্যু হয়েছিল ডেঙ্গুতে। এ নিয়ে এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯১ জনে।
মশাবাহিত এ রোগে সেপ্টেম্বরের প্রথম সাত দিনেই সারাদেশে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৬ হাজার ৯০৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ৯৮ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ২৬৮৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮৯৯ জন ঢাকার; ১৭৯০ জন ঢাকার বাইরের।
একদিনে মারা যাওয়া ২০ জনের মধ্যে ঢাকায় ১১ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৭১১ জনে। তাদের মধ্যে ৭৬ হাজার ৫৩৯ জন ঢাকার বাইরের, ৬৪ হাজার ১৭২ জন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
হাসপাতালে ভর্তি রোগী এবং মৃত্যুর এই সংখ্যা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।
বর্তমানে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৯ হাজার ৭১১ জন রোগী ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৪১৫১ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায় ৫৫৬০ জন।
এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েই চলেছে। জুন মাসে পাঁচ হাজার ৯৫৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, জুলাই মাসে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন, অগাস্ট মাসে ৭১ হাজার ৯৭৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন।
আর জানুয়ারিতে ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন, এপ্রিলে ১৪৩ জন, মে মাসে এক হাজার ৩৬ জন, জুন ৫ হাজার ৯৫৬ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন।
জুনে সারাদেশে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর জুলাইয়ে ২০৪ জন, অগাস্টে ৩৪২ জনের মৃত্যু হয়।
তার আগে জানুয়ারিতে ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন, এ্প্রিলে ২ জন, মে মাসে ২ জন এবং জুনে ৩৪ জনের মৃত্যু হয় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে।
এ বছর এইডিস মশা শনাক্তে চালানো জরিপে ঢাকায় মশার যে উপস্থিতি দেখা গেছে, তাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় সামনে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়ার আশঙ্কা করেছেন তারা।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ বছর যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের প্রায় সবাই ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে ভুগছিলেন এবং শক সিনড্রোমে মারা গেছেন।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)