বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৯ হাজার ৯৮৮ জন রোগী।
Published : 29 Jan 2024, 04:21 PM
ডেঙ্গুর প্রকোপ দেশজুড়ে বিস্তারের মধ্যে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে গত এক দিনে আরও ২৯৪৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন; এসময়ে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সবশেষ তথ্য বলছে, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার চেয়ে ঢাকার বাইরে রোগী ভর্তি ও মৃত্যুর সংখ্যা বেশি।
এ নিয়ে এ বছর এইডিস মশাবাহিত এ রোগে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ১৭২ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ৭৬৭ জনের। এদিন সকাল পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ঢাকার ৮২৩ জন। ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ২১২১ জন। একদিনে মৃত ব্যক্তিদের ৬ জন ঢাকায়, ৯ জন ঢাকার বাইরের।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৯ হাজার ৯৮৮ জন রোগী। এরমধ্যে ঢাকায় ৪১৩৭ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ৫৮৫১ জন। হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও মারা যাওয়ার এ সংখ্যা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।
এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েই চলেছে। জুনে পাঁচ হাজার ৯৫৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, জুলাইয়ে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন। পরের মাসে সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিলে অগাস্টে ৭১ হাজার ৯৭৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। এর আগের মাসগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল অনেক কম।
মশাবাহিত এ রোগে প্রাণহানিও বাড়তে থাকে জুন থেকে; মারা যান ৩৪ জন। পরের দুই মাসে তা বাড়ে কয়েকগুণ; জুলাইয়ে ২০৪ জন, অগাস্টে ৩৪২ জনের মৃত্যু হয়। এ ধারা বজায় থাকে সেপ্টেম্বরেও; প্রথম ১২ দিনে মারা গেছেন ১৭০ জন।
এ বছর এইডিস মশা শনাক্তে চালানো জরিপে ঢাকায় মশার যে উপস্থিতি দেখা গেছে, তাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় সামনে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়ার আশঙ্কা করেছেন তারা। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ বছর যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের প্রায় সবাই ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে ভুগছিলেন এবং শক সিনড্রোমে মারা গেছেন।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)