সাত দিনের এ কর্মসূচিতে ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সীদের কৃমির ওষুধ খাওয়ানো হবে।
Published : 17 Jan 2023, 04:52 PM
সারাদেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে শিক্ষার্থীদের খাওয়ানো হবে কৃমির ওষুধ। সাত দিনের এ কর্মসূচিতে ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সীদের কৃমির ওষুধ খাওয়ানো হবে।
২৭তম জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ সামনে রেখে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
এবার ২ কোটি ৬০ লাখ শিশুকে কৃমির ওষুধ খাওয়ানোর লক্ষ্য ঠিক করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রাথমিকভাবে দেশের ৪৪টি জেলায় পালিত হবে এ কর্মসূচি।
প্রাথমিক পর্বে নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নাটোর, জয়পুরহাট, বগুড়া, খুলনা, ঝিনাইদহ, নড়াইল, মাগুরা, যশোর, সাতক্ষীরা, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, লালমনিরহাট, পঞ্চগড় জেলায় শিশুদের কৃমির ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে না।
কর্মসূচির আওতায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী সব (স্কুলগামী, স্কুল বহির্ভূত, স্কুল থেকে ঝরে পড়া, পথ শিশু, কর্মজীবি শিশু) শিশুকে এক ডোজ কৃমিনাশক ওষুধ বিনামূল্যে খাওয়ানো হবে। এছাড়া পুনরায় কৃমি হওয়া রোধে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার সম্পর্কে শিশুদের সচেতন করা হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শিশুদের কৃমির ওষুধ খাওয়ানোর এই কর্মসূচিতে সাফল্য এসেছে। ২০০৫ সালে যেখানে ৮০ শতাংশ শিশুর মলে কৃমি পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে ২০১৮-২০১৯ সালে তা ৭ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে আসে।
“স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশ থেকে কৃমি নির্মূল করতে চায়। এজন্যই এই কর্মসূচি। শিশুরা খাবারের মাধ্যমে যে পুষ্টি গ্রহণ করে তার বড় অংশই কৃমি খেয়ে ফেলে। ফলে শিশুরা অপুষ্টিতে ভোগে। সব শিশুদের যেন এই ওষুধ খাওয়ানো হয়, আমরা অভিভাবকদের কাছে সেই আহ্বান জানাচ্ছি।”
খুরশীদ আলম বলেন, কৃমির এই ওষুধের তেমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে কৃমির ওষুধ নেওয়ার আগে শিশুরা যেন বাসা থেকে খেয়ে আসে। ভরা পেটে কৃমির ওষুধ খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, সংক্রামক রোগ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলামসহ কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মলনে উপস্থিত ছিলেন।