ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে লক্ষ্য অর্জন করা না গেলেও বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশকে ‘সফল’ বলতে চান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, “ডেঙ্গু শুধু বাংলাদেশের না, সারাবিশ্বের সমস্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে মশাবাহিত রোগে সারাবিশ্বে বছরে সাত লাখ লোক মারা যায়। অন্য দেশের তুলনায় আমরা ভালো করলেও বসে নেই, আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি।”
বুধবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের একটি অধিবেশনে অংশ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন মন্ত্রী।
সরকারের তথ্য অনুযায়ী ২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২ জন এইডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা এক বছরের সর্বোচ্চ।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, “ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এবার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করা যায়নি। তবে বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করলে বাংলাদেশ সফল।”
জেলা ও উপজেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়াকে ‘উদ্বেগজনক’ হিসেবে বর্ণনা করে করেন তিনি বলেন, “ডেঙ্গু আগে ঢাকা শহরের জন্য উদ্বেগের বিষয় ছিল, কিন্তু এটা এখন সারাদেশে ছড়িয়ে গেছে। এজন্য আমরা আমাদের সব পৌরসভা ও ইউনিয়নকে কার্যক্রম হাতে নেওয়ার জন্য বলেছি।
“আমরা একটি ইন্টিগ্রেটেডে ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন তৈরি করছি। এটা আমরা তাদের (ডিসি) দেব সে অনুযায়ী কাজ করতে। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশ গবেষণার মাধ্যমে কীভাবে মশা নিয়ন্ত্রণ করছে সে বিষয়ে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করছি।”
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রশাসনের কোনো বিরোধ নাই।
“বিরোধের কোনো কথা আমরা শুনি নাই। এখানে (সম্মেলনে) উত্থাপিত হয় নাই। তবে দুইটা প্রতিষ্ঠান দুজন ব্যক্তি যখন একই কাজ করেন, তখন দেখা যায় ধারণাগত কিছু কনফ্লিক্ট (সংঘর্ষ) হয়। এটা বিরোধ নয়। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠান উভয়কেই একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এ নির্দেশনা স্পষ্টভাবে জেলা প্রশাসকদের দেওয়া হয়েছে।”