দেশে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলায় করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
Published : 21 Dec 2021, 06:32 PM
মঙ্গলবার সচিবালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “কক্সবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে মানুষ ভ্রমণ করছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক সমাবেশ করছে, কিন্তু কোনো স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। এতে করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।”
নভেম্বরের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন বিশ্বে ছড়াচ্ছে বিদ্যুৎগতিতে। বাংলাদেশেও ইতোমধ্যে ওমিক্রমণের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরী পরামর্শক কমিটির সুপারিশে ইতোমধ্যে ১৫ নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সব ধরনের (সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও অন্যান্য) জনসমাগম নিরুৎসাহিত করা; পর্যটন স্থান, বিনোদনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার, সিনেমা হল/থিয়েটার হল ও সামাজিক অনুষ্ঠানে (বিয়ে, বৌভাত, জন্মদিন, পিকনিক পার্টি ইত্যাদি) লোক সমাগম ধারণক্ষমতার অর্ধেকের মধ্যে রাখা এবং রেস্তোরাঁয় ধারণক্ষমতার অর্ধেক বা তার কম আসনে বসে খাওয়ার ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে সেখানে।
আসন্ন বড়দিন আর ইংরেজি নববর্ষের উৎসব ঘিরে ঘরের বাইরে কোনো সভা, সমাবেশ এবং ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন না করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে আয়োজন করার পরামর্শ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “ওমিক্রন বিশ্বের ৯০টা দেশে ছড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়েছে। আমাদের দেশে অনেক মানুষ কক্সাবাজার গেছে, কারও মুখে মাস্ক নেই। রাজনৈতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে, মিটিং মিছিল হচ্ছে, কিন্তু কেউ মাস্ক পরে না। যার কারণে আমরা আশঙ্কা করছি, যেন সংক্রমণ বেড়ে না যায়।
“আমরা যদি বেসামালভাবে চলি, তাহলে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হবে। সেজন্য জনগণকে আহ্বান করব, যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি। নিয়ন্ত্রিতভাবে কাজ করি, ওমিক্রনকে প্রতিরোধ করি।”
সারা দেশের মানুষ যেন আগের মত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক এবং সিভিল সার্জনদের চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার জন্য সুরক্ষা অ্যাপ হালনাগাদ করা হচ্ছে। এটি হলে সারাদেশে করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ নিতে পারবে নির্ধারিত জনগোষ্ঠী।
বাংলাদেশে মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৫ লাখ ৮১ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজারের বেশি মানুষের।