এই রোগের চিকিৎসায় নতুন ধারণা সংযোজন হয়েছে।
Published : 28 Jan 2024, 10:12 AM
আলঝেইমার্স রোগের মস্তিস্কের কোষগুলো কীভাবে মারা যায় সেটি খুঁজে বের করতে পারার কথা জানিয়েছেন যুক্তরাজ্য ও বেলজিয়ামের একদল বিজ্ঞানী।
দলটি সায়েন্স জার্নালে লিখেছে, তারা মস্তিষ্কে বেড়ে ওঠা অস্বাভাবিক প্রোটিনের সঙ্গে ‘নেক্রোপটোসিস’ এর সংযোগ পেয়েছেন, যেটি সেল বা কোষগুলোর স্বেচ্ছামৃত্যুর কারণ।
এই তত্ত্বকে ‘শান্ত’ এবং একইসঙ্গে ‘উত্তেজনাপূর্ণ’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। কারণ, এই রোগের চিকিৎসায় তারা নতুন ধারণা সংযোজন করেছেন।
মানুষের ব্রেইন কোষ বা নিউরনের মৃত্যুই স্মৃতি হারানোসহ আলঝেইমার্সের অন্যান্য লক্ষণগুলো প্রকাশের প্রধান কারণ। আলঝেইমার্সে আক্রান্ত লোকেদের ব্রেইনের দিকে তাকালে দেখা যাবে ‘অ্যামাইলয়েড’ ও ‘টাউ’ নামে অস্বাভাবিক প্রোটিন গড়ে উঠেছে।
কিন্তু এর সঙ্গে এই রোগের মূল চরিত্র বা বৈশিষ্ট্যগুলোর সংযোগ দেখাতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। যদিও অস্বাভাবিক এই প্রোটিনের ফলেই ব্রেইনের কোষগুলোর মৃত্যু ঘটছে বলে এখন মনে করছেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে যুক্তরাজ্যের ডিমেনশিয়া রিসার্চ ইন্সটিটিউট এবং বেলজিয়ামের কেইউ লিউভেনের গবেষকরা।
তারা বলছেন, অস্বাভাবিক অ্যামাইলয়েড নিউরনের মাঝের জায়গাগুলোতে তৈরি হতে শুরু করে। এর ফলে ব্রেইনে প্রদাহ শুরু হয় যা নিউরনের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করে। এর ফলে নিউরনগুলোর অভ্যন্তরীণ রসায়ন বা স্বাভাবিক কার্যক্রমের পরিবর্তন হতে শুরু করে।
এছাড়া ব্রেইনে টাউ প্রোটিনের জট দেখা যায় এবং ব্রেইন কোষগুলো একটি নির্দিষ্ট অণু (এমইজি৩) তৈরি করতে শুরু করে যেটি নেক্রোপটোসিসের কারণে মারা যায়।
নেক্রোপটোসিস এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে নতুন কোষ তৈরি হলে অপ্রয়োজনীয় বা অনাকাঙ্ক্ষিত কোষগুলো পরিষ্কার হয়ে যায়। আর এমইজি থ্রি উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে মস্তিস্কের কোষগুলো ধুঁকতে থাকে।
যুক্তরাজ্যের ডিমেনশিয়া রিসার্চ ইন্সটিটিউটের গবেষক অধ্যাপক বার্ট ডি স্ট্রোপার বলেন, “এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আকর্ষণীয় আবিষ্কার। ৩০-৪০ বছর ধরে অনেক জল্পনা-কল্পনা চলছে, কিন্তু এই প্রক্রিয়াটি কেউ চিহ্নিত করতে সক্ষম হযননি। এটি সত্যিই কোষগুলোর আত্মহত্যার ব্যাপারে শক্তিশালী প্রমাণ সরবরাহ করে।” সংবাদসূত্র: বিবিসি
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)