মাইকেল মধুসূদন দত্তের 'বীরাঙ্গনা কাব্য' অবলম্বনে 'কহে বীরাঙ্গনা' নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন শুভাশিস সিনহা।
Published : 25 Jan 2024, 12:33 PM
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের দ্বিশততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে 'কহে বীরাঙ্গনা' নাটকের বিশেষ প্রদর্শনী হবে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জের ঘোড়ামারা গ্রামে মণিপুরি থিয়েটারের নটমণ্ডপে।
শুক্রবার বিকাল ৫টায় প্রদর্শনী শুরুর আগে মাইকেলের সাহিত্য নিয়ে বক্তৃতা করবেন কথাশিল্পী প্রশান্ত মৃধা। এছাড়া বেলা ৩টায় মাইকেলের কবিতা নিয়ে শিশু-কিশোরদের আবৃত্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করার কথা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে মণিপুরি থিয়েটার।
মাইকেল মধুসূদন দত্তের 'বীরাঙ্গনা কাব্য' অবলম্বনে 'কহে বীরাঙ্গনা' নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন শুভাশিস সিনহা। একক অভিনয় করছেন জ্যোতি সিনহা। ২০১০ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার মিলনায়তনে এ নাটকের প্রথম প্রদর্শনী হয়।
শকুন্তলা, দ্রৌপদী, দুঃশলা ও জনা– এই চার পৌরাণিক নারীর বিরহ, ঈর্ষা, শান্তি ও বিদ্রোহ তুলে ধরা হয়েছে নাটকটিতে; যার মূল কথা উঠে আসে– হিংসা নয়, প্রেমেই মানুষের মুক্তি। মহাভারতের এই চার নারীর স্বামীকে লেখা চিঠিই নাটকের মূল উপজীব্য।
নির্দেশক শুভাশিস সিনহা বলেন, কাব্যকে অক্ষুণ্ন রেখে শারীরিক ও বাচিক অভিনয়ের মিশেলে নাটকটি তৈরি করা হয়েছে। নাটকটির ভাষা বাংলা। তবে তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মণিপুরি বাদ্য, তাল ও নৃত্যভঙ্গি।
বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনে বেশ প্রশংসিত হয়েছে নাটকটি। দেশের বাইরেও বেশ কয়েকটি উৎসবে মঞ্চস্থ হয়েছে। অর্জন করেছে চলচ্চিত্রকার আবদুল জব্বার খান স্মৃতিপদক।
এ নাটকে সংগীতে আছেন শর্মিলা সিনহা, বাদ্যে বিধান সিংহ, মুদ্রাশিল্পী হিসেবে আছেন স্বর্ণালী, শ্যামলী, আশা, মনীষা, মিতালী, ভাগ্যলক্ষ্মী।