বলিউডে নিজের কঠিন সময়টি কতটা কঠিন ছিল, তা জানাতে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া যা বললেন, তা ‘হাতি খাদে পড়লে, চামচিকাও লাথি মারে’ বাংলা এই প্রবাদের সঙ্গেই মিলে যায়।
বলিউড নিয়ে প্রিয়াঙ্কার অপ্রিয় সত্য বচনকে কেন্দ্র করে কিছু দিন ধরেই চলছে আলোচনা। হলিউডে পাড়ি জমানো এই ভারতীয় অভিনেত্রীর ভাষ্যে, বলিউডে টিকে থাকাটা তার জন্য কঠিন করে তোলা হয়েছিল।
আমেরিকান অভিনেতা ড্যাক্স শেফার্ডের ‘আর্মচেয়ার’ পডকাস্টে এসে প্রিয়াঙ্কা বলেছিলেন, “ইন্ডাস্ট্রিতে (বলিউড) আমাকে কোনঠাসা করে ফেলা হয়েছিল। আমাকে সিনেমায় নেওয়া হচ্ছিল না। আমার অভিনয় হয় না, এমনটা বলা হচ্ছিল। এই রাজনীতিতে আমি ভীষণ তিক্ত হয়ে পড়েছিলাম।”
এক দশক আগে তেমন পরিস্থিতিতে হলিউডে সুযোগ পেয়েই লুফে নেন প্রিয়াঙ্কা; এখন নিক জোনাসকে বিয়ে করে সেথানেই থিতু তিনি, মেয়েও হয়েছে তার।
পডকাস্টে ঝড় তোলার পর সম্প্রতি পিঙ্কভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা সেই সময়কার পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, যখন কেউ ব্যর্থ হয়, মানুষ তাকে ছুড়ে ফেলে দেয়। কারণ মানুষের প্রকৃতিই এমন।
“একজন মানুষ যখন তলিয়ে যাচ্ছে,যখন সে একা-বিচ্ছিন্ন, তখনই সকলে তাকে লাথি মারছে।”
সেই পরিস্থিতিতে উঠে দাঁড়ানোর মন্ত্র পরিবার থেকেই পেয়েছিলেন বলে জানান এই অভিনেত্রী।
“যখন আপনি জানেন যে আপনার যোগ্যতা আছে, কিন্তু তারপরও কেউ আপনাকে মূল্যায়ন করছে না কিংবা আপনি যেখানে পৌঁছাতে চাইছেন, সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না। ধরেন একটি সিনেমাই যদি ব্যর্থ হয়, ব্যর্থতার পরে কীভাবে নিজেকে মূল্যায়ন করতে হবে- তা আমার বাবা-মা আমাকে শিখিয়েছিলেন।”
এতদিন পর হঠাৎ কেন অভিমান উগড়ে দিলেন, সাক্ষাৎকারে সেই প্রশ্নের উত্তরও দেন প্রিয়াঙ্কা।
তিনি বলেন, সেদিন পডকাস্টে থাকাকালীন নিজের প্রায় পুরো জীবন নিয়েই কথা বলছিলেন তিনি। নিজের ছোট-বড়, আনন্দ-বেদনার সব ঘটনা নিয়ে খোলামেলাভাবে কথা বলছিলেন।
‘আমার জীবনে অনেক কিছুই ঘটেছে। তবে গত পাঁচ বছর বেশ ভালো অবস্থানে ছিলাম। যে ধরনের কাজ চেয়েছিলাম, তা করতে পেরেছি। তাই জীবনের কঠিন সময়গুলো নিয়ে কথা বলা এখন অনেক সহজ আমার জন্য। কারণ আমি তাদের থেকে অনেক দূরে সরে এসেছি। এসব আমার মাঝে আর জটিলতা তৈরি করে না।”