দেশে প্রথমবারের মতো চালু প্রামাণ্যচিত্র পুরস্কার পেয়েছেন রাওয়ান সায়মা ও চৈতন্য রাজবংশী।
শনিবার ঢাকার ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে দুইদিনের আয়োজন শেষে প্রামাণ্যকার পর্ষদ প্রবর্তিত এ দুই পুরস্কার এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রগ্রাহক মো. মকসুদুল বারীকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।
‘ডিকোডিং জেন্ডার’ প্রামাণ্যচিত্রের জন্য ‘চলচ্চিত্রকার আলমগীর কবির শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্যচিত্র পুরস্কার ২০২২’ পেয়েছেন রাওয়ান সায়মা এবং ‘মাটিশ্বর’ প্রামাণ্যচিত্রের জন্য ‘চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্যচিত্র পুরস্কার ২০২২’ পেয়েছেন চৈতন্য রাজবংশী।
এদিন ‘বাংলাদেশ প্রামাণ্যচিত্র চর্চার প্রেক্ষাপট’ বিষয়ক মত বিনিময় সভা দিয়ে দ্বিতীয় ও শেষ দিনের আয়োজন শুরু হয়।
শেষ দিনে পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রামাণ্যচিত্র দুটি প্রদর্শনীর পাশাপাশি প্রিমিয়ার হয় ব্রাত্য আমিন নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘কোম্পানিদেশ’ এর।
প্রথম আসরেই প্রামাণ্যচিত্রের প্রদর্শনী দর্শকদের মধ্যে প্রত্যাশা জাগিয়েছে বলে জানান প্রামাণ্যকার পর্ষদের সদস্য মানজারেহাসীন মুরাদ।
এ আয়োজনের বিষয়ে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও কিছু কিছু কাজ হচ্ছে। আমরা প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতাদের জনসম্মুখে আনতে চাই। তাদের স্বীকৃতি দিতে চাই। কাজের উৎকর্ষতার একটা পরিমাপ দিতে চাই। যাতে দর্শক ভালো প্রামাণ্যচিত্রের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে সে জন্যই এই উদ্যোগ।”
দেশে প্রামাণ্যচিত্রের জন্য একটা সন্ধিক্ষণ চলছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “প্রামাণ্যচিত্র বেসরকারি টেলিশনের মতো সরকারিভাবেও উপেক্ষিত। মোট অনুষ্ঠানের ২৫ শতাংশ প্রামাণ্যচিত্র দেখাতে হবে এমন একটা নির্দেশনা থাকার পরও বেসরকারি টেলিভিশনগুলো নিউজ অ্যান্ড ভিউজের পেছনে ছুটছে। সরকারিভাবে প্রামাণ্যচিত্রের অনুদান প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।”
তিনি বলেন, “আমাদের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে মাত্র একটা পুরস্কার দেওয়া হয় প্রামাণ্যচিত্রের জন্য। সে জন্যই আমরা প্রামাণ্যচিত্রপ্রেমীদের জন্য ভালো ছবি চিহ্নিত করতে চাই। সে জন্যই এই পুরস্কার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা।”
মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে নির্মিত পুরস্কারপ্রাপ্ত ‘মাটিশ্বর’ বেশ কয়েকটি দেশে প্রদর্শিত ও পুরস্কৃত হয়েছে। দেশে প্রথম এ পুরস্কার পেয়ে তার ভালো লাগার কথা জানালেন প্রামাণ্যচিত্রটির নির্মাতা চৈতন্য রাজবংশী।
তিনি বলেন, “মাটিশ্বর নির্মাণ করেছিলাম মোবাইল ফোন দিয়ে। তখন ফান্ডিং ছিল না। এখন ফান্ডিং পেয়েছি। আধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে ভালো চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে পারব।”