আশা পারেখ, হেলেন অ্যান রিচার্ডসন এবং ওয়াহিদা রহমান ঘুরছেন কাশ্মীরে।
Published : 25 Jun 2024, 12:10 PM
দুজনের বয়স ৮৬, একজনের ৮২; কিন্তু এই বয়স যে তাদের কাছে কেবল সংখ্যা, সেটি ফের বুঝিয়ে দিলেন গত শতকের ষাটের দশকের হিন্দি সিনেমারে তিন উজ্জ্বল অভিনেত্রী আশা পারেখ, হেলেন অ্যান রিচার্ডসন এবং ওয়াহিদা রেহমান।
আনন্দবাজার লিখেছে, দুই সঙ্গীকে সঙ্গে নিয়ে আশা পারেখ এবার ঘুরছেন কাশ্মীরে।
কাশ্মীরের ছবি আশা পারেখ পোস্ট করেছেন ইনস্টাগ্রামে। ক্যাপশন পড়ে বোঝা গেছে, শ্রীনগরের হাউসবোটে আছেন তারা ।
রাজকীয় সাজের ওই হাউসবোটে আরো দুই তরুণীকে সঙ্গে নিয়ে ছবি তুলেছেন হিন্দি সিনেমার এক সময়ের তিন নায়িকা।
তাদের মাথার ওপরে ঝাড়বাতি, ঘরের দেওয়ালে কাঠের সূক্ষ্ম জাফরিকাটা। পায়ের নীচে কাশ্মীরি গালিচা। সঙ্গে বিলাসবহুল সোফাসেট।
এর আগে এই ত্রয়ী গিছিলেন মালদ্বীপে। এছাড়া কোভিড মহামারীর দ্বিতীয় বছরে লকডাউনের সময় সব ধরনের জনসমাগম যখন নিষিদ্ধ ছিল, তখনো সাগরে বোটে চড়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন আশা, হেলেন ও ওয়াহিদা। সে সময় ওয়াহিদা সাগরের নিচে ডুব সাঁতারও দিয়েছেন।
তিনজনের মধ্যে ওয়াহিদা রেহমানের জন্ম ১৯৩৮ সালে। ১৯৫৬ সালে ‘সিআইডি’ সিনেমা দিয়ে তার চলচ্চিত্রে আসা। আর নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ ১৯৫৭ সালে ‘পয়সা’ সিনেমায়।
এরপর ষাট, সত্তর ও আশির দশকে ওয়াহিদা ছিলেন হিন্দি সিনেমার খ্যাতিমান অভিনেত্রী। তিনি সত্যজিৎ রায়ের ‘অভিযান’ সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন।
১৯৪২ সালে আশা পারেখের জন্ম। বলিউডে যে কজন অভিনেত্রী নাচে পটু ছিলেন, আশা তাদের মধ্যে অন্যতম। পঞ্চাশের দশকে শিশু শিল্পী হিসেবে বলিউডের সিনেমায় কাজ করলেও একসময়ে নায়িকা হিসেবে বলিউডে অভিষেক ঘটে আশা পারেখের।
‘কাটি পতঙ্গ’, ‘ক্যারাভাঁ’, ‘দো বদন’সহ বেশ কয়েকটি আলোচিত সিনেমায় কাজ করা আশা পারেখ এক সময় অবশ্য বলিউড ছেড়ে দেন। এরপর টিভি সিরিয়াল প্রযোজনায় যুক্ত হন; করেছেন চলচ্চিত্র নির্মাণও।
অভিনেত্রী হেলেন অ্যান রিচার্ডসনের জন্ম ১৯৩৮ সালে। তার বাবা জর্জ ডেসমায়ার ছিলেন অ্যাংলো ইন্ডিয়ান আর মা ছিলেন মিয়ানমারের নাগরিক। বলিউডে হেলেন অভিনীত চলচ্চিত্র ‘মেরে নাম চিন চিন চু’, ‘ও হাসিনা জুলফওয়ালে’, ‘পিয়া তু আন তো আজা’, ‘মেহবুবা ও মেহবুব’ দারুণ জনপ্রিয় হয়েছিল। বলিউড তারকা সালমান খান হেলেনের সৎ ছেলে।