সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন, পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম থাকার পরও ওই কৃষককে কেন দেওয়া হয়নি তা খতিয়ে দেখা হবে।
Published : 28 Jun 2024, 09:15 PM
ফেনীর সোনাগাজীতে সাপে কাটা কৃষককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলেও তাকে অ্যান্টিভেনম না দিয়ে পাঠানো হয় সদর জেনালের হাসপাতালে। কিন্তু পথেই তার মৃত্যু হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার চর দরবেশ ইউনিয়নের চর সাহাভিকারী গ্রামে ওই কৃষককে সাপে কাটে বলে জানিয়েছেন সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদ্বীপ রায় পলাশ।
নিহত মো. ইসমাইল (৪৫) উপজেলার চর দরবেশ ইউনিয়নের চর সাহাভিকারী গ্রামের বাসিন্দা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা উৎপল দাশ বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপে কাটা রোগীর জন্য পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন থাকার পরও ওই কৃষককে কেন দেওয়া হয়নি তা খতিয়ে দেখা হবে।
নিহত ইসাইলের ছেলে মো. শাহীন বলেন, স্থানীয় কারামতিয়া বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন বাবা। রাত ১১টার দিকে একটি সাপ তার ডান পায়ে কামড় দেয়। তিনি একটি রশি দিয়ে ক্ষতস্থানের উপরে বেঁধে বাড়ি আসেন। প্রথমে বাড়িতে কিছু সময় রেখে ওঝা দিয়ে ঝাড়ফুঁক করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে রাত ২টার দিকে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
শাহীনের অভিযোগ, সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা কোনো চিকিৎসা না দিয়ে তার বাবাকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু ফেনী নেওয়ার পথে তার বাবা মারা যান।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা উৎপল দাশ বলেন, “স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন রয়েছে। সম্প্রতি রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতঙ্ক দেখা দেওয়ার পর হাসপাতালের সব চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের সাপে কাটা রোগীকে প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম) প্রয়োগের বিষয়ে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।
“এখানে সাপে কাটা রোগী আনার পরও কেন ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা মো. সাদেকুল করিম বলেন, “ইসমাইলকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখা যায়। তাই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়।”
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদ্বীপ রায় পলাশ বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।