এই একাডেমি বলতে রাষ্ট্র কী মনে করে এবং এর ভিশন (রূপকল্প) কী, তা বর্তমান আইনের কোথাও স্পষ্ট নয় বলে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের ভাষ্য।
Published : 31 Oct 2024, 08:38 PM
‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আইন ১৯৮৯’সংশোধন করার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর অংশ হিসেবে খসড়া তৈরি করে জনমত যাচাইয়ের জন্য অ্যাকাডেমির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
ওই খসড়ার ওপর শিল্পী, কলাকুশলী, শিল্পবোদ্ধা, সংস্কৃতিসেবী, গবেষক, সাংবাদিকসহ সবার মতামত/পরামর্শ চেয়ে বৃহস্পতিবার শিল্পকলা একাডেমির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “জনবান্ধব, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক শিল্পকলা একাডেমি গঠন করার লক্ষ্যে সকল অংশীজনের সহযোগিতা প্রয়োজন।”
আগামী সাত কর্ম দিবসের মধ্যে ই-মেইলের মাধ্যমে ([email protected]) মতামত/পরামর্শ দেওয়ার জন্য অংশীজনদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে একাডেমি।
গত ৯ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব নেওয়ার পর শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিকে ‘নতুন দেশের’ আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী সচল করতে সংস্কার ও গণতান্ত্রিক রূপান্তর দরকার।”
এই একাডেমি বলতে রাষ্ট্র কী মনে করে এবং এর ভিশন (রূপকল্প) কী, তা বর্তমান আইনের কোথাও স্পষ্ট নয় বলে মহাপরিচালকের ভাষ্য।
আইনের ফাঁক গলে একাডেমি কীভাবে সরকারের আজ্ঞাবহ একটি দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত ও পর্যবসিত হবার ঝুঁকিতে পড়েছে, সে কথাও তিনি সেদিন বলেন।
শিল্পকলাকে সচল করতে সংস্কার ও গণতান্ত্রিক রূপান্তর দরকার: সৈয়দ জামিল
শিল্পকলা আইনের সংস্কারের দাবি তুলে তিনি বলেছিলেন, “২০২৪-এর রক্তস্নাত জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী এই সময়কে একদিকে সম্ভাবনাময়, অন্যদিকে, এক ক্রান্তিক্ষণ রূপে বিবেচনা করা যায়।
“এমন একটি সময়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির বর্তমান আইনের ৪ থেকে ১৩ নং ধারা পর্যন্ত স্থগিত বা বাতিল করার প্রয়োজনীয়তার দিকে সবিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়। তাই, একাডেমির ভিশনকে পুনরায় নির্ণয় করার প্রয়োজনীয়তা এখন এই নতুন সময়ের নতুন দাবিতে পরিণত হয়েছে।”
সকলের মতামতের ভিত্তিতে সংগৃহীত প্রস্তাব বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পরিষদে উত্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছে একাডেমির জনসংযোগ বিভাগ।