সিরিজে শেহজাদ চৌধুরী চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। তিনি বলেন, "কালপুরুষ -এর গল্প ও আমার চরিত্র দুটোই একদম ইউনিক।“
Published : 22 May 2024, 07:20 PM
থ্রিলার ও সায়েন্স ফিকশন ঘরানার গল্পে ওয়েব সিরিজ ‘কালপুরুষ’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় ওটিটি প্লাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পাবে সিরিজটি।
ওয়েব সিরিজটি পরিচালনা করছেন সালজার রহমান; গল্প ও চিত্রনাট্যও তারই লেখা। পরিচালক বলেছেন, একটি মৃত্যুকে ঘিরে গল্প ডালপালা মেলেছে। প্রধান তিন চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, এফ এস নাঈম, তানজিকা আমিন।
আরো অভিনয় করেছেন জয়ন্ত চট্যোপাধ্যায়, ইমতিয়াজ বর্ষণ, প্রিয়ন্তি উর্বি, সুষমা সরকার, রেজওয়ান পারভেজ, জান্নাতুল মাওয়া লাজুক।
এই ওয়েব সিরিজের একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন সংগীত শিল্পী এলিটা করিম।
সিরিজে শেহজাদ চৌধুরী চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। তিনি বলেন, "কালপুরুষের গল্প ও আমার চরিত্র দুটোই একদম ইউনিক। আমাদের এখানে এমন ধরনের কাজ খুব কম হয়। সেই সাথে পরিচালক সালজার ও সহশিল্পীরা প্রত্যেকেই তাদের বেস্ট দেওয়ার চেষ্টা করেছেন এখানে। এখন অপেক্ষা দর্শককের কাছে সিরিজটা পৌঁছানোর।"
‘কালপুরুষ’ এ অভিনয়ের জন্য বিরাট শারীরিক পরিবর্তন এনেছেন অভিনেতা নাঈম। প্রায় ৩৫ কেজি ওজন বাড়িয়েছেন মিরাজ চরিত্রটি পর্দায় ফুটিয়ে তোলার জন্য।
আরও পড়ুন
'কালপুরুষ'দিয়ে ওটিটিতে অভিষেক এলিটা করিমের
তিনি বলেন, "আসলে চরিত্রটা ধারণ করার জন্যই এমনটা করা। চরিত্রের কাছাকাছি পৌঁছানোর জন্যেই প্রায় ৩৫ কেজি ওজন বাড়িয়েছিলাম। আর এটা শুধু বডি ট্রান্সফরমেশন বললে হবে না, এটা অনেক বড় একটা মনস্তাত্ত্বিক জার্নি। সেই সাথে প্রায় ৮-৯ মাস এক্সট্রা বডি ওয়েট রাখার একটা ডিপ্রেশন ছিল। তারপর শুটিং করা। এই জার্নিটা আমার জন্য একটা সাধনা।"
এই সিরিজে যুক্ত হওয়ার গল্প শুনিয়ে তানজিকা আমীন বলেন, “প্রথমে গল্প শোনার পরই আমার কাছে ইন্টারেস্টিং লেগেছিল। পুরো স্ক্রিপ্ট পড়ার পর মনে হয়েছে খুব ভালো কিছু হবে। আর আমার চরিত্রটাও বেশ ভিন্ন। সেই সাথে দুর্দান্ত একটা টিম কাজ করেছে কালপুরুষে। সব মিলিয়েই এই সিরিজের সাথে সম্পৃক্ত হওয়া।"
পরিচালক সালজার রহামনের ওটিটি যাত্রা শুরু হচ্ছে ‘কালপুরুষ’ দিয়েই।
তিনি বলেন, "সিরিজটি মার্ডার মিস্ট্রি হলেও একদম ভিন্ন রকমের উপস্থাপনা দেখা যাবে। একটা মার্ডার কেস সলভ করতে গিয়ে নানা কিছু ঘটতে থাকে। সেই ঘটনাগুলো ধরে এগোতে থাকে সিরিজের গল্প।"
‘কালপুরুষ’-এর সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন বরকত হোসেন পলাশ। সম্পাদনায় ছিলেন সৈয়দ মেহবুব হোসেন ও সালেহ সোবহান অনীম। কালার গ্রেডিং করেছেন সৈয়দ মেহবুব হোসেন, নওশীন সারোয়ার ও সালেহ সোবহান অনীম। আর এই সিরিজে এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার হিসেবে ছিলেন সৈয়দ আহমদ শাওকী।
আরও পড়ুন: