বাবা হুমায়ূন আহমেদের নন্দিত দুই ধারাবাহিক ‘কোথাও কেউ নেই’ ও ‘বহুব্রীহি’ বাংলাদেশ টেলিভিশনের পর্দায় দেখে মুগ্ধতার কথা জানালেন তরুণ নির্মাতা নুহাশ হুমায়ূন।
Published : 08 Apr 2020, 09:24 PM
করোভাইরাসের কবলে ‘ঘরবন্দি’ দর্শকদের একঘেয়েমি কাটাতে সোমবার থেকে প্রতিদিন রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর ‘কোথাও কেউ নেই’ ও রাত ৯টায় ‘বহুব্রীহি’র প্রচার করছে বাংলাদেশ টেলিভিশন।
ধারাবাহিক দুটি মঙ্গলবার বিটিভিতে দেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখা এক প্রতিক্রিয়ায় নুহাশ জানান, বাবা ও ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘বহুব্রীহি’সহ তার সব সৃষ্টিকর্ম এখনও জীবন্ত।
এবারই প্রথমবারের মতো ‘কোথাও কেউ নেই’ দেখার কথা জানিয়ে নুহাশ বলেন, “নাটকটি দেখে মনে হচ্ছে, এই অস্থির সময়েও নাটকের গল্প একটি বিষয়। বাবার সৃষ্টিকর্মগুলো এখনও জীবন্ত; সেগুলো আমাদের স্বস্তি দিচ্ছে, অনুপ্রাণিত করছে। তোমার কথাই ভাবছি, বাবা।”
একইদিন ‘বহুব্রীহি’ দেখার পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানান, এ নাটকের ‘পাবলিকের মুখ তো বন্ধ করে রাখতে পারবেন না দুলাভাই’ সংলাপটি এখনও প্রাসঙ্গিক।
হুমায়ূন আহমেদের রচনায় ‘কোথাও কেউ নেই’ ধারাবাহিকের নির্দেশনা দেন বরকত উল্লাহ; ১৯৯২-৯৩ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত নাটকের ‘বাকের ভাই’ চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নেন অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর।
বাকের ভাইয়ের ফাঁসি আটকাতে সাধারণ মানুষ রাজপথে মিছিল করে প্রতিবাদ করে; সমসাময়িক পত্রপত্রিকায় এ খবর গুরুত্বের সঙ্গে প্রচারও করা হয়। ফাঁসির বিপক্ষে জনমত থাকা সত্ত্বেও চিত্রনাট্য অনুযায়ী বাকের ভাইয়ের ফাঁসিই দেওয়া হয়।
এর আগে ১৯৮৮-৮৯ সালের দিকে বিটিভিতে প্রচারিত আরেক ধারাবাহিক ‘বহুব্রীহি’ও লিখেন হুমায়ূন আহমেদ; এটি প্রযোজনা করেন নওয়াজিশ আলী খান।
সামরিক শাসনের সেই সময়ে এ ধারাবাহিকে পাখির মুখ দিয়ে বলানো ‘তুই রাজাকার’ সংলাপটি স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রতি ঘৃণার প্রকাশভঙ্গি হিসেবে মুখে তুলে নেয় বাংলাদেশের মানুষ; পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন আন্দোলনে শ্লোগান হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে এ সংলাপ।
একটি পরিবারকে ঘিরে আবর্তিত হওয়া এ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, আসাদুজ্জামান নূর, আলী যাকের, আফজাল হোসেন, লুৎফরনাহার লতা, লাকী ইনাম, আবুল খায়ের, আফজাল শরীফসহ আরো অনেকে।