একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা গ্যালারিতে আগামী ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে প্রদর্শনী, যা সবার জন্য উন্মুক্ত।
Published : 21 Dec 2024, 11:29 PM
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী ‘৬ষ্ঠ জাতীয় ভাস্কর্য প্রদর্শনী ২০২৪’; যেখানে স্থান পেয়েছে ১৫৯ জন শিল্পীর ১৭৮টি শিল্পকর্ম।
চারুকলা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় শনিবার বিকালে একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস. মুরশিদ।
এদিন একাডেমির প্রযোজনা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় চিত্রশালা ভবনের ৫ নম্বর গ্যালারিতে প্রদর্শনীর ‘মাল্টিমিডিয়া ৩৬০ ডিগ্রি ভিআর’ সংস্করণ উদ্বোধন হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, “আমরা যে অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাত্রা করেছি, সেই অন্ধকারে আর ফিরে যাব না। এমন জায়গায় আর ফিরে যাব না, যেখানে একাত্তরের স্বপ্ন দুমড়ে-মুচড়ে যাবে।”
জুলাই অভ্যুত্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, “৫ অগাস্ট হোক শিল্প জগতের জন্য প্রেরণা। শিল্পকলা একাডেমির কাছে আশা করব, তারা আমাদের তরুণদের অনেক নতুন ভাবনা, নতুন সৃষ্টিতে উৎসাহ যোগাবে।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান বলেন, “ভাস্কর্য শিল্প ব্যায়বহুল। তাই আমি মনে করি, এই প্রদর্শনী থেকে শিল্পকলা যদি কিছু ভাস্কর্য কিনে নেয়, তাহলে শিল্পীদের কিছুটা আর্থিক সংস্থান হবে।”
বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী বলেন, “যেকোনো শিল্পকর্ম আসলে দর্শককে নতুন চিন্তা, অণুচিন্তা এবং মগ্নতায় নিমজ্জিত করে। আমাদের সামষ্টিক যাপিত জীবনটাই একটা ভাস্কর্য।
“আবার আমাদের দেশে ভাস্কর্য নিয়ে একটা অশ্বস্তিও আছে। চব্বিশ-উত্তর সময়ে সামগ্রিকভাবেই ভাস্কর্য নিয়ে নতুন চিন্তা ও নিরীক্ষার সুযোগ যেন আমরা নিতে পারি।”
অনলাইনে যুক্ত হয়ে সভাপতির বক্তব্য দেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ভাস্কর আতিকুল ইসলাম।
ধারাবাহিকভাবে ভাস্কর্য চর্চায় উৎসাহ ও বিকাশ সাধনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে ১৯৮২ সালে প্রথম ভাস্কর্য প্রদর্শনী আয়োজিত হয়।
এবারের প্রদর্শনীতে সম্পৃক্ত আছেন ২১৬ জন শিল্পী। এদের মধ্যে ১৫৯ জন শিল্পীর বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১৭৮টি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে একাডেমির জনসংযোগ বিভাগ।
একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা গ্যালারিতে প্রদর্শনী চলবে আগামী ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত। সবার জন্য উন্মুক্ত এই প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১১টা (সরকারি ছুটির দিন বিকাল ৩টা) থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ১০টি সম্মানসূচক পুরস্কারসহ ১৩টি পুরস্কার দেওয়া হয়। ‘৬ষ্ঠ জাতীয় ভাস্কর্য পুরস্কার’ অর্জন করেছেন আজহারুল ইসলাম শেখ চঞ্চল, আবদুল খালেক চৌধুরী ও বিলাস মণ্ডল।
সম্মানসূচক পুরস্কার পেয়েছেন অসীম হালদার সাগর, রুপম রায়, অলক কুমার সরকার, আবু সাদায়াত মো. সোহেল, অমিত কোচ, আসফিকুর রহমান, সৈয়দ তারেক রহমান, হাবীবা আখতার পাপিয়া, কনক কুমার পাঠক ও শ্রাবন্তী মেহেরুণ।