সরকারের ঋণ: ব্যাংকের বাইরে যেতে বলছে বাংলাদেশ ব্যাংক

বিকল্প উৎসমুখী হতে এ পরামর্শ এমন সময়ে এল যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ বাড়ছে; আর মূল বিকল্প সঞ্চয়পত্র বিক্রির চেয়ে পরিশোধ করতে হচ্ছে বেশি।

শেখ আবু তালেবনিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Feb 2023, 07:42 PM
Updated : 8 Feb 2023, 07:42 PM

ব্যাংক ব্যবস্থায় তারল্য কমার চাপ সামলানো আর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে উভয় সংকটে থাকা কেন্দ্রীয় ব্যাংক চায় সামনের দিনগুলোতে ঋণ নিতে বিকল্প উৎসমুখী হোক সরকার; লক্ষ্য মূল্যস্ফীতির পারদ যাতে আর না চড়ে।

সরকারকে ব্যাংকের বিকল্প অর্থায়নের পথে যাওয়ার পরামর্শ এমন সময়ে এল যখন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণের প্রবাহ বাড়ছে। বাজারে মুদ্রা সরবরাহ বেড়ে যা মূল্যস্ফীতিকে উসকে দিচ্ছে; সাধারণের জীবনযাত্রায় চাপ তৈরি করছে।

গত নভেম্বর পর্যন্ত সরকারের অভ্যন্তরীণ উৎস হিসেবে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও জাতীয় সঞ্চয়পত্র থেকে নেওয়া ঋণের তথ্য বিশ্লেষণ-মূল্যায়ন করে ‘সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণ নিয়ে’ নিয়মিত মাসিক প্রতিবেদনে এমন পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

গত রোববার প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে বিকল্পের কথা বলা হলেও সেগুলো কী তা বলা হয়নি। সরকারের হাতে খুব বেশি বিকল্প যে আছে তা নয়। এরমধ্যে মূল উৎস সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমছে; যতটুকু বিনিয়োগ আসছে পরিশোধ করতে হচ্ছে তারও বেশি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জাতীয় সঞ্চয়পত্রের (এনএসসি) পাশাপাশি ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কথা বলছেন। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদনের পর কান্ট্রি প্রতিবেদনে পর্যায়ক্রমে এনএসসি নির্ভরতা কমাতে বলেছে। সরকারও বৈশ্বিক অর্থায়নকারী সংস্থাটির একগুচ্ছ সংস্কার প্রস্তাবসহ আর্থিক ও ব্যাংক খাতের অনেক পরামর্শ মানতে সম্মত হয়েছে।

এতে ব্যাংক থেকে ঋণ কমিয়ে সঞ্চয়পত্র থেকে বাড়ানোর পথে যাওয়ার খুব বেশি সুযোগও থাকছে না সরকারের।

উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে নিত্যপণ্যের বাড়তি দাম এমনিতেই মানুষের সঞ্চয়ের ক্ষমতা কমেছে। ব্যাংকের আমানত ভেঙে পরিবারের খরচ মেটাতে হচ্ছে অনেককে। সঞ্চয়পত্র কেনাবেচার তথ্যও বলছে নতুন করে কেনার তুলনায় ভাঙানোর পরিমাণও কম নয়।

অপরদিকে সরবরাহ সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোর কাছে বিপুল পরিমাণ ডলার বিক্রি করায় বাজার থেকে টাকা গেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে, যা তৈরি করেছে তারল্য সংকট। কলমানির সাম্প্রতিক তথ্যও তাই বলছে। চাহিদা মেটাতে এক ব্যাংক আরেক ব্যাংকের কাছ থেকে উচ্চ সুদে টাকা ধার করছে।

নভেম্বর পর্যন্ত এসব তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে সরকারের ব্যাংক ঋণ বেড়েছে। অন্যদিকে নন-ব্যাংক উৎস থেকে ঋণ নেওয়ার হার কমছে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি কমে আসায়। এ প্রবণতা মূল্যস্ফীতিকে বাড়িয়ে দিতে ভূমিকা রাখছে। এমন প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আগামীতে সরকারের ঋণ চাহিদা মেটাতে ব্যাংক বহির্ভূত উৎসের দিকে বেশি গুরুত্বের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মুস্তাফিজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘ব্যাংকিং খাতে যে তারল্যের সংকট দেখা দিয়েছে তাতে বাংলাদেশ ব্যাংক এমন পরামর্শ দিতে পারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক হয়ত চাচ্ছে একস্থানে ঋণ স্তুপ যেন না হয়, বেসরকারি খাতেও যেন ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জিত হয়।”

উচ্চ সুদের কারণে সরকার আগ থেকেই সঞ্চয়পত্র থেকে সরে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যাংক বহির্ভূত মানেই হচ্ছে বাণিজ্যিক ব্যাংকের বাইরে। বাংলাদেশ ব্যাংক ওই অর্থে ব্যাংক নয়। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকও সরকারের ঋণের উৎস হতে পারে।

“যদি তাই হয় সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে ঋণ দিবে তা নতুন নোট ছাপিয়ে দিতে হবে। এই ঋণের সঠিক ব্যবহার হলে মূল্যস্ফীতিতে খুব একটা প্রভাব পড়বে না টাকার সরবরাহ বৃদ্ধিজনিত কারণে।’’

এছাড়া বিকল্প উৎস হতে পারে বৈদেশিক ঋণ ও পাইপলাইনে থাকা ঋণ দ্রুত ছাড় করে ব্যবহার করা বলে জানান এই অর্থনীতিবিদ।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বর্তমান প্রবণতা পর্যবেক্ষণ করে দুটি বিষয়ের কথা বলেছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ‘‘প্রথমত ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট দেখা দিচ্ছে সরকার বেশি ঋণ নেওয়ায়। আরেকটি হচ্ছে সরকারকে ঋণ দিতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন টাকা ছেপে বাজারে ছাড়ছে যাকে, হাইপাওয়ার মানি বলা হয়। তাতে মূল্যস্ফীতি বাড়তে ভূমিকা রেখেছে।’’

কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে কত নিল সরকার

অন্য উৎস থেকে না পেয়ে নগদ অর্থের চাহিদা মেটাতে সরকার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বেশি ঋণ নিয়েছে। ট্রেজারি বিল ও বন্ডের বিপরীতেই বেশি ঋণ নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মাসিক এ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরকার নিট ঋণ নিয়েছে ৪৯ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বরে যা ছিল মাত্র ৯ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা।

অপরদিকে আলোচিত সময়ে (জুলাই-নভেম্বর) সরকার ব্যাংকিং খাত থেকে নিট ঋণ নিয়েছে ৩২ হাজার কোটি টাকা, যা বাজেটে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ৩০ শতাংশ। আগের ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১৭ হাজার ২৬১ কোটি টাকার সামান্য বেশি, যা ওই অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার ১৯ দশমিক ৮ শতাংশ।

বাজেট ঘাটতি মেটাতে চলতি অর্থবছরে সরকার অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকার ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে। এরমধ্যে ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৫ কোটি, সঞ্চয়পত্র থেকে ৩৫ হাজার কোটি এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য মিলিয়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা।

সরবরাহ বেড়েছে টাকার

সরকারের প্রয়োজনে কোনো কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংক ঋণ দিতে না পারলে তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা যোগান দেয়। এক্ষেত্রে ‘প্রমিজরি নোটের’ বিপরীতে নতুন টাকা ইস্যু করে ঋণের যোগান দেওয়া হয়। এতে বাজারে টাকার সরবরাহ বেড়ে যায়, যেটিই মূলত মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দেয়।

বাজারে টাকার সরবরাহ বাড়ার তথ্য উঠে এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সূচক বিষয়ক আরেক প্রতিবেদনে।

এতে দেখা যায়, ২০২২ সালের জুনে বাজারে মুদ্রা সরবরাহ (কারেন্সি ইন সার্কুলেশন) ছিল ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি, যা নভেম্বরে বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৭৪ হাজার ৫৯৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ জুলাই-নভেম্বর সময়ে বাজারে নতুন মুদ্রা বেড়েছে ১৮ হাজার ৪১৬ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের এ সময়ে বেড়েছিল মাত্র ১২৮ কোটি টাকা। অপরদিকে গত নভেম্বর শেষে এক বছরে মুদ্রা সরবরাহ বেড়েছে ৪৭ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা।

বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ বেশি

তারল্য সংকটে ভুগতে থাকা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এখন আগের মত সরকারকে ঋণ দিতে পারছে না। উল্টো নগদ টাকার চাহিদা পূরণে মেয়াদ শেষ হওয়া সরকারি বন্ড ও ট্রেজারি বিল নগদায়ন করে নিচ্ছে। আবার কিছু অংশ বিক্রি করছে।

গত ১৫ জানুয়ারি মুদ্রানীতি ঘোষণার সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার জানিয়েছিলেন, তারল্য সহায়তা দিতে ২০২২ সালে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকার ট্রেজারি বিল ও বন্ড কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক ।

২০২২ সালের জুলাই-নভেম্বর সময়ের তথ্যে দেখা যায়, এসময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ধার নেওয়া অর্থের মধ্যে ২১ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করেছে। নভেম্বর শেষে বাণিজ্যিক ব্যাংকে সরকারের ঋণ স্থিতি ছিল ২ লাখ ৯০ হাজার ৫৮০ কোটি, যা জুন শেষে ছিল তিন লাখ ১২ হাজার ৬২ কোটি।

এসময়ে সব মিলিয়ে অভ্যন্তরীণ উৎস হিসেবে ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত খাত থেকে সরকার নিট ঋণ নিয়েছে ৩৪ হাজার ৫৩১ কোটি টাকা, যা বাজেটের লক্ষ্যের ২৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। গত ২০২১-২২ অর্থবছরের চেয়ে যা ২০ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরের এ সময়ে সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণের নিট পরিমাণ ছিল ২৮ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা।

অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে (ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূতসহ) গত নভেম্বর শেষে সরকারের ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১৩ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা। ২০২১ সালের নভেম্বরে যা ছিল ৬ লাখ ১১ হাজার ৭১২ কোটি টাকা।

ব্যাংকের তারল্যে টান, বাড়ছে কলমানি

নানা কারণে জমার চেয়ে টাকা তুলে নেওয়ার পরিমাণ বাড়তে থাকায় ব্যাংকিং খাতে ২০২২ সালের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে তারল্য কমেছে ৪১ হাজার ৮২৯ কোটি টাকা।

জুন শেষে তারল্যের পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৪১ হাজার ৬৮১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, যা পাঁচ মাসের ব্যবধানে গত নভেম্বরে নেমেছে ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৮৫১ কোটি ৮৭ লাখ টাকায়।

তারল্য সংকটের এ সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যই বলছে এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকের স্বল্পমেয়াদে ধার নেওয়া অর্থের জন্য ব্যাংকগুলোকে উচ্চ সুদ গুনতে হচ্ছে। এরমধ্যে গত নভেম্বরে একাধিকবার ১৪ দিন মেয়াদী কলমানির হার সাড়ে ১০ শতাংশ সুদে উঠেছিল।

কলমানির উচ্চ হার জানুয়ারি পেরিয়ে ফেব্রুয়ারিতেও বজায় থাকতে দেখা গেছে। এরমধ্যে গত ৩ জানুয়ারি স্বল্প মেয়াদী ৫ দিনের জন্য কলমানিতে সুদহার সর্বোচ্চ ১২ শতাংশ উঠেছিল। ১৪ দিন মেয়াদী অনেক ঋণের সুদহার ওই মাসে ৯ শতাংশের বেশি ছিল। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের কয়েকদিনও তা ৭ থেকে ৯ শতাংশের মধ্যে ছিল। আর বুধবার গড়ে এ হার ছিল ৬ দশমিক ১৩ শতাংশ। 

সঞ্চয়পত্র ভাঙছে বেশি

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, মূল্যস্ফীতির কারণে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের চেয়ে পুরনোগুলো বেশি ভাঙা হচ্ছে বেশি। গত জুলাই-নভেম্বর সময়ে ৩৪ হাজার ৯২৯ কোটি ৫০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এসময়ে আসল হিসেবে সরকার পরিশোধ করেছে ৩৬ হাজার ৫৪৫ কোটি কোটি টাকা। সুদ দেওয়া হয়েছে ১৯ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি কমেছে প্রায় ১ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা।

নিম্নমুখী মূল্যস্ফীতি

২০২২ সালের জানুয়ারি শুরু হয়েছিল ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ মূল্যস্ফীতি নিয়ে। রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানিসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গেলে ওই বছর অগাস্টে দেশে মূল্যস্ফীতি এক দশকের রেকর্ড ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে পৌঁছায়।

তবে এরপর থেকে ক্রমেই কমে আসছে মূল্যস্ফীতির পারদ। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে তা ৯ শতাংশের বেশি থাকলেও নভেম্বরে তা থেকে তা নিম্নমুখী হয়ে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশে নেমেছে।

ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকার নিয়েছে কত

হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের পুরোটা সময় সরকার শুধু বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নিট ঋণ নিয়েছে ১ লাখ ছয় হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা; ডিসেম্বর শেষে স্থিতি ছিল ১ লাখ ২১ হাজার ৪৭১ কোটি টাকা। ২০২১ সালের ডিসেম্বর শেষে যা ছিল মাত্র ১৪ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে নিট ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ছয় হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা বা ৭১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

অপরদিকে ব্যাংকিং খাত থেকে এক বছরে সরকারের নিট ঋণ বেড়েছে ৮১ হাজার ১৯১ কোটি টাকা বা ৩৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ২০২২ সাল শেষে ঋণ স্থিতি দাঁড়ায় ৩ লাখ ২ হাজার ৪৩৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা। ২০২১ সালের ডিসেম্বর শেষে যা ছিল ২ লাখ ২১ হাজার ২৪৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।