আম রপ্তানি বাড়াতে ৪৭ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়ার কথা জানিয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক।
Published : 13 Apr 2023, 07:30 PM
মানসম্মত ও নিরাপদ আম নিশ্চিত করা গেলে বাংলাদেশের আম বিশ্বে আরও বেশি সমাদৃত হবে বলে মনে করেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেছেন, “বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের আমের অনেক চাহিদা রয়েছে। দেশে আমের উৎপাদন অনেক বেড়েছে, রপ্তানির সম্ভাবনাও অনেক। রপ্তানির ক্ষেত্রে আম নিরাপদ ও রোগজীবাণুমুক্ত- এ নিশ্চয়তা দিতে হবে। কিন্তু আমরা এখনো সেই নিশ্চয়তা দিতে পারিনি, আমাদের প্রস্তুতি চলছে।”
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন, বিপণন ও রপ্তানি বিষয়ক আলোচনায় সভায় বক্তৃতা দিচ্ছিলেন কৃষিমন্ত্রী।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “উত্তম কৃষি চর্চা মেনে আম উৎপাদন, ভ্যাপার হিট ট্রিটমেন্ট স্থাপন, আধুনিক প্যাকিং হাউজ নির্মাণ এবং কৃষক, ব্যবসায়ী, রপ্তানিকারকদের প্রশিক্ষণসহ নানান উদ্যোগ বাস্তবায়ন কাজ চলছে। ইতোমধ্যে আম রপ্তানি বাড়াতে ৪৭ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর ফলে অচিরেই বিশ্ববাজারে দেশের আম রপ্তানির পথ সুগম হবে।”
আম উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে সপ্তম অবস্থানে থাকলে রপ্তানি বাজারে অতটা দখল নেই। দেশে বছরে প্রায় ২৪ লাখ টন আম উৎপাদন হয়। তবে পরিবহন, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণে আধুনিক ব্যবস্থা না থাকায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ আম নষ্ট হয়ে যায়।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, “রপ্তানি বৃদ্ধি করতে পারলে আম চাষিরা ভাল দাম পাবেন, পোস্ট হার্ভেস্ট লস কমবে। একইসাথে স্থানীয় বাজারে আরও নিরাপদ ও রোগজীবাণুমুক্ত আম পাওয়া যাবে।”
অনুষ্ঠানে সুইজারল্যান্ডে আম রপ্তানিকারী এক ব্যবসায়ী বলেন, তিনি কেবল সেখানকার বাঙালি ক্রেতাদের জন্য আম রপ্তানি করতে পারছেন। আমের আকার আকৃতি শোভন না হওয়ায় ইউরোপের বাজারে পাকিস্তান, ভারত ও থাইল্যান্ডের তুলনায় পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।
ইতোমধ্যে ইংল্যান্ড, জাপান, রাশিয়াসহ ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশ থেকে আম আমদানির আগ্রহ দেখিয়েছে। বিশ্বে ২১ জাতের আম রপ্তানি হয়ে থাকে, যার বেশ কয়েকটি বাংলাদেশে উৎপাদিত হয়।
এ দেশে সত্তরের বেশি জাতের আম উৎপাদিত হয়, যার মধ্যে জনপ্রিয় জাত হচ্ছে - খিরসাপাত, গোপালভোগ, লেংড়া, ফজলি, হাড়িভাঙ্গা, আম্রপালি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের দুইটি জাত (খিরসাপাত, ফজলি) জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।