নিরাপদ পানির জন্য একসঙ্গে কাজ করার তাগিদ

নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার পরামর্শ এসেছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি-ইউএনডিপি আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায়।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Nov 2018, 04:32 PM
Updated : 29 Nov 2018, 04:48 PM

বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবার জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিতে চ্যালেঞ্জ ও করণীয় নিয়ে ইউনিলিভার বাংলাদেশের ‘পিওর ইট’ এর সহায়তায় ইউএনডিপি এ আলোচনার আয়োজন করে।

বৈঠকে উপস্থাপিত এক গবেষণায় বলা হয়, বাংলাদেশের দেশের ৬০ শতাংশ মানুষ অনিরাপদ পানি ব্যবহার করছে। নিরাপদ ও মানসম্মত খাবার পানি সমস্যা সমাধানে বেসরকারি খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

নিরাপদ পানি সরবরাহে বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসেম এ খান বলেন, "সবার জন্য বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করা বেশ বড় একটা কাজ। সরকার একা পারবে না। ফলে সরকারের উচিৎ বেসরকারি সেক্টরকে আরও সম্পৃক্ত করা।"

ঢাকা ওয়াসা এরই মধ্যে নানা প্রকল্প বাস্তবায়নে বেসরকারি খাতের উপর নির্ভরশীল হয়েছে বলে জানান তিনি।

গোলটেবিল আলোচনায় নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের উপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান।

"নিরাপদ পানিসহ প্রতিটি খাতেই সরকারি-বেসরকারি খাতের গভীর সমন্বয় প্রয়োজন। একসাথে কাজ করলে ২০২১ সাল নাগাদ সবার জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।"

দেশের জলবায়ু ও ভৌগলিক পরিবেশ বিবেচনায় রেখে পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী বলেন, "নিরাপদ পানিতে বিনিয়োগে শুধুমাত্র মানুষেরই ভাল হবে না; বিনিয়োগকারীরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন।”

"পানিতে বিনিয়োগ এক প্রকারের সঞ্চয়।"

সবার জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিতে ড্রিংক ওয়েল ও ফলিয়া ওয়াটার নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগ তুলে ধরা হয় বৈঠকে।

ওয়াসার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পানির এটিএম সার্ভিস চালু করেছে ড্রিংক ওয়েল। ওয়াসার যে কোনো পাম্পে পানির এটিএম যুক্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি; যেখানে ৪০ পয়সায় এক লিটার বিশুদ্ধ পানি মিলবে।

অন্যদিকে ৩০ টাকা মূল্যের ফলিয়া ফিল্টার পেপার দিয়ে ২২-৩০ লিটার পানি বিশুদ্ধ করা যাবে বলে জানানো হয়।

ইউনিলিভার বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কেদার লেলে বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের বিশ্বের ২৬তম বৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চলে পরিণত হবে। সামনের বছরগুলোতে এখনে বিনিয়োগ অনেকাংশেই বৃদ্ধি পাবে। তাই এই অঞ্চলে বিনিয়োগের পাশাপাশি এখানকার মানুষদের স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে ব্যবসায়ীদেরই ভাবতে হবে।

বাংলাদেশে নিরাপদ পানির নিশ্চয়তা দেওয়ার লক্ষ্যে হাতে নেওয়া যেকোনো উদ্যোগে ইউনিলিভার সহায়তা দেবে বলে জানান তিনি।

আলোচনায় কোকা-কোলার কান্ট্রি পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনস অফিসার শামিমা আক্তার, পিডব্লিওসির অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর সন্দিপ কোটা, বিশ্ব ব্যাংকের উপদেষ্টা জাভেদ বিন করিম, ইউনিলিভার বাংলাদেশের মার্কেটিং ডিরেক্টর তানজিন ফেরদৌস আলমসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।