“সংখ্যাগুরু মানুষের উচিত সংখ্যায় কম মানুষের সংস্কৃতির বিকাশে এগিয়ে আসা।”
Published : 22 Feb 2024, 08:41 PM
জাতীয় উন্নয়নের স্বার্থেই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতির বিকাশে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দরকার বলে মন্তব্য করেছেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার।
বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রামের অমর একুশে বইমেলা মঞ্চে নৃ-গোষ্ঠী উৎসবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দীপংকর তালুকদার বলেন, বাংলাদেশের বিভিন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি এ দেশের অমূল্য সম্পদ। সাংস্কৃতিক নানা উপাদান এসব জাতিগোষ্ঠীর সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। যুগ যুগ ধরে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও জাতিসত্তা এবং অ-উপজাতীয় জনগণ বসবাস করছে।
“উপ-জাতীয়রা যেমন একদিকে সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্যের অধিকারী, অন্যদিকে তারা মূল জনগোষ্ঠীর অপরিহার্য অংশ। জাতীয় উন্নয়নের জন্যই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতির বিকাশে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দরকার। জাতীয় উন্নয়নের জন্যই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতির বিকাশে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দরকার “
দীপংকর তালুকদার বলেন, “ভাষা যদি না থাকে, তবে সংস্কৃতি বিলুপ্ত হবে। তাই বাংলাদেশের অনেক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতির সঠিক লালন প্রয়োজন। সংখ্যাগুরু মানুষের উচিত সংখ্যায় কম মানুষের সংস্কৃতির বিকাশে এগিয়ে আসা।”
অনুষ্ঠানের আলোচক কবি ও নাট্যজন শিশির দত্ত বলেন, “ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর রয়েছে হাজার বছরের ঐতিহ্যে লালিত নিজস্ব আচার, উৎসব ও সংস্কৃতি দারিদ্র্য ও সংখ্যাগরিষ্ঠের আগ্রাসী সংস্কৃতির চাপে আজ তা প্রায় বিপন্ন।
“তবুও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা ধরে রেখেছেন নিজেদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও উৎসবগুলোকে। যুগে যুগে যা সমৃদ্ধ করেছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাহিত্যকে।”
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক ড. আজাদ বুলবুলের সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাটিরাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রশান্ত ত্রিপুরা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আনন্দ চাকমা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম।
পরে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর শিল্পীরা গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন।