১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১
আমরা ‘আদিবাসী’ (ইনডিজেনাস) শব্দটিকে ‘আদি বাসিন্দা’ (আরলিয়েস্ট মাইগ্রেন্টস) হিসেবে পাঠ করতে ও কাউন্টার দিতে শিখেছি। প্রপাগান্ডা মেশিন বোধহয় এভাবেই কাজ করে। ‘আদিবাসী’ মোটেও আদি বাসিন্দা অর্থে ব্যবহৃত হয় না।
“বাংলাদেশে বহু ভাষাভাষী আদিবাসী জাতি আছে, তাদের সেই অস্তিত্বকে অবাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে পাঠ্যবই থেকে আদিবাসী শব্দ সম্বলিত গ্রাফিতি ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে”, বলেন তিনি।
অলিক মৃ বলেন, “এখনও গ্রাফিতি পুনর্বহাল হয়নি। সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে চিঠি দিয়ে বলা হচ্ছে, আদিবাসী শব্দ ব্যবহার ব্যবহার করা যাবে না।”
‘সভরেন্টি’ প্রসঙ্গে ছাত্রনেতাদের অভিযোগের আঙুল ‘মৌলবাদী’ গোষ্ঠীর দিকেও, যারা বিভিন্ন ব্যানারে ‘নামে-বেনামে’ বিভিন্ন সময় আবির্ভূত হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবেশে বক্তারা আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতিরও দাবি জানান।
শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশে এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলা জুলাই-অগাস্টের গণঅভ্যুত্থানের প্রতি অবমাননা ও তাদের স্বপ্নের মুক্ত বাংলাদেশের ওপর আঘাতের সামিল। এ ধরনের হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
গ্রাফিতি সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার এবং এনসিটিবি চেয়ারম্যানকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানিয়েছেন বিবৃতি দেওয়া ব্যক্তিরা।
সমাবেশে বক্তারা হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার এবং আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি জানান।