পাচারকালে দুটি লজ্জাবতী বানর ও একটি পেঁচাসহ চট্টগ্রামে দুই পাচারকারী ও দুই ক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আমীরাবাদে বার আউলিয়া কলেজ গেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব বণ্যপ্রাণী উদ্ধার ও গ্রেপ্তারের কথা জানান লোহাগাড়া থানার ওসি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান।
গ্রেপ্তার চারজন হলেন- বান্দরবানের আলীকদম থানার দানু সরদার পাড়ার মো. মোবারক হোসেন (২৭), দক্ষিণ পূ্র্ব পালং পাড়ার সাদ্দাম হোসেন (২৭) ও উত্তর পালং পাড়ার মো. মহিউদদ্দিন এবং খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার বয়রা গ্রামের আজাহার সিকদার (৪২)।
ওসি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এদের মধ্যে মোবারক ও সাদ্দাম আলীকদম থেকে মোটরসাইকেলে করে বণ্যপ্রাণীগুলো বার আউলিয়া কলেজ এলাকায় নিয়ে আসে। সেখানে মহিউদ্দিন ও আজহার আগে থেকে তাদের অপেক্ষায় ছিল।
পরের দুজন প্রাণীগুলো নিয়ে চট্টগ্রাম শহরের অলংকার বাস স্টেশনে যাবার কথা। সেখানে অন্য এক ব্যক্তি তাদের অপেক্ষায় ছিল। তার মাধ্যমে ঢাকা হয়ে বণ্যপ্রাণীগুলো বিদেশে পাচারের লক্ষ্য ছিল পাচারকারীদের।
“এদের সাথে বণ্যপ্রাণি পাচারের আন্তর্জাতিক চক্রের যোগসূত্র আছে বলে ধারণা করছি,” ওসি যোগ করেন।
থানার এসআই রুহুল আমিন খান জানান, গ্রেপ্তার মোবারক, সাদ্দাম ও মহিউদ্দিন স্থানীয় হওয়ার সুযোগ কাজে লাগে এগুলো সংগ্রহ করেছে এবং আজহার ক্রেতা পক্ষের লোক।
অবৈধভাবে বন্যপ্রাণী শিকার ও পাচার করার দায়ে তাদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ অনুসারে মামলা করা হয়েছে।
পাচারকারীদের দুটি মোটরসাইকেলও জব্দ করেছে পুলিশ।
উদ্ধার হওয়া প্রাণীগুলো বনে উন্মুক্ত করার জন্য চুনতি রেঞ্জ বন কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) তালিকা অনুযায়ী লজ্জাবতী বানর (Bengal slow loris) বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা প্রাণী। উদ্ধার হওয়া পেঁচাটি সাদা রঙের। সচরাচর এ ধরণের পেঁচার দেখা মেলে না।
এরআগে ২০২২ সালের শেষ দিকে লোহাগাড়া থানার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযানে আলীকদম থেকে আনা লজ্জাবতী বানরসহ বেশ কিছু বণ্যপ্রাণী উদ্ধার করেছিল পুলিশ।