‘বিক্রির জন্য’ নগরীতে আনার সময় চট্টগ্রামের লোহাগাড়া বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে একটি চিতা বিড়াল, তিনটি মেছো বিড়াল ও একটি মথুরা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে এসব বন্যপ্রাণী পাচারের ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানার ফতেহাবাদ গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে মো. এমরান (২৪) এবং বান্দরবান জেলার আলীকদম থানার নয়াপাড়া গ্রামের সামশুল আলমের ছেলে আলীম উদ্দিন (৩৭)।
লোহাগাড়া থানার ওসি মো মুহাম্মদ আতিকুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজ রাত সাড়ে ৭টার দিকে জানতে পারি বান্দরবান জেলার আলীকদম থানা এলাকার গহীন অরণ্য থেকে ধরা কিছু বন্যপ্রাণী কিনে নিয়ে একটি মোটর সাইকেলে কয়েকজন লামা থেকে আজিজ নগর হয়ে দরবেশহাট সড়ক দিয়ে লোহাগাড়া বাস স্ট্যান্ডের দিকে রওনা হয়েছে।
“আমরা বাস স্ট্যান্ডে অবস্থান নিই। মোটর সাইকেলটি এসআলম কাউন্টারে পৌঁছা মাত্র দু’জনকে আটক করি।”
এদের মধ্যে আলীম উদ্দিনের হাতে থাকা বাজারের ব্যাগে একটি মথুয়া (বন মোরগ) এবং মো. এমরানের কাছে থাকা খাঁচার মধ্যে একটি চিতা বিড়াল এবং আরেকটি বাজারের ব্যাগের মধ্যে তিনটি মেছো বিড়াল পাওয়া যায় বলে জানান ওসি।
তিনি বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, এসব বণ্যপ্রাণী তারা আলীকদমের মুরং লোকজনের কাছ থেকে কিনেছে। নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছিল।”
বন্যপ্রাণী সংরক্ষন ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ এর ৩৪(খ) ধারা মোতাবেক গ্রেপ্তার দুজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ওসি।
বন্যপ্রাণীগুলো বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। তারা এগুলো আবার বনে উন্মুক্ত করে দেবে।
রাঙামাটির বন সংরক্ষক মো. মিজানুর রহমান বিডিনিউ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চিতা বিড়াল বা লেপার্ড ক্যাটের বৈজ্ঞানিক নাম Prionailurus bengalensis । কালো মথুরা পাখির বৈজ্ঞানিক নাম Lophura leucomelanos।
“এসব বন্যপ্রাণীর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। সংরক্ষণের পদক্ষেপ নেওয়া না হলে অতি বিপন্ন হয়ে পড়বে।”
এর আগে গত ৮ অক্টোবর আলীকদমের পাহাড়ি বন থেকে ধরে নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারে নেওয়ার সময় চুনতি অভয়ারন্য এলাকা থেকে একটি বিপন্ন প্রজাতির উল্লুক উদ্ধার করেছিল বন বিভাগ।