গত মাসে মোংলা বন্দরে প্রথমবারের মতো ভিড়েছিল ভারতীয় পণ্যের একটি জাহাজ।
Published : 06 Sep 2022, 09:50 PM
ট্রানজিটের আওতায় ভারতের পণ্যের পরীক্ষামূলক পরিবহনের দ্বিতীয় চালানের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে একটি কন্টেইনার।
টিএমটি স্টিল (লোহার রড) ভর্তি কন্টেইনারটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সিলেটের সুতারকান্দি স্থলবন্দর হয়ে ভারতের আসাম রাজ্যে যাবে।
কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দর থেকে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি ট্রান্স সামুদেরা’য় করে কন্টেইনারটি মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে ভেড়ে।
জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ম্যাঙ্গোলাইন লিমিটেডের ব্যবস্থাপক হাবীবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এমভি ট্রান্স সামুদেরা জাহাজে করে কলকাতা বন্দর থেকে মোট ১১০টি কন্টেইনার এসেছে। এর মধ্যে ট্রানজিটের আওতায় এক কন্টেইনার টিএমটি স্টিল পণ্য রয়েছে।”
ওই কন্টেইনারের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বেও তারা রয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এটির বিভিন্ন শুল্ক প্রদান শেষে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সিলেটের সুতারকান্দি হয়ে আসামে যাবে।”
এর আগে ২০২০ সালের ২১ জুলাই ট্রানজিটের আওতায় ভারতের কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পরীক্ষামূলক পণ্য পরিবহনের প্রথম চালান এসেছিল। এমভি সেঁজুতি জাহাজে করে সেবার এসেছিল চার কন্টেইনার পণ্য।
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বাংলাদেশের আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে এসব পণ্য ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় গিয়েছিল।
চার বছর আগে দুই দেশের মধ্যে করা ট্রানজিট ব্যবহারের চুক্তির আওতায় গেল ৮ অগাস্ট পরীক্ষামূলকভাবে একটি জাহাজ ভারতীয় পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরে ভেড়ে। এর একটি কন্টেইনার মোংলা-তামাবিল (সিলেট) সড়কপথ ব্যবহার করে মেঘালয় এবং অপরটি মোংলা-বিবিরবাজার (কুমিল্লা) সড়কপথ দিয়ে আসামে যায়।
ভারতের এক এলাকা থেকে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর এবং সড়কপথ ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহনের পরীক্ষামূলক দ্বিতীয় চালান হচ্ছে এবার।
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এমভি ট্রান্স সামুদেরা বন্দরের এনসিটি-১ জেটিতে ভিড়েছে। সেখানে ট্রানজিটের আওতায় এক কন্টেইনার পণ্য রয়েছে। শুল্কায়নসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষ করে তা নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাবে।”
চট্টগ্রাম বন্দরের সুবিধাদি আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “কন্টেইনার হ্যান্ডলিংসহ অন্যান্য কাজে আমরা আগের চেয়ে অনেক বেশি দক্ষ। এ ধরনের পণ্য পরিবহনে বন্দর প্রস্তুত আছে।”
আরও পড়ুন:
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ভারতীয় পণ্য পরিবহনের ‘ট্রায়াল রান’ শুরু হচ্ছে