চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ভারতীয় পণ্য পরিবহনের ‘ট্রায়াল রান’ শুরু হচ্ছে

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ভারতীয় পণ্য পরিবহনের ‘ট্রায়াল রান’ শুরু হচ্ছে।

মিন্টু চৌধুরী জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 July 2020, 04:05 PM
Updated : 12 July 2020, 04:36 PM

এর মধ্য দিয়ে ভারতীয় পণ্যবাহী কন্টেইনার চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে সড়কপথে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে পরিবহনের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হবে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) মো. জাফর আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ভারতীয় পণ্য পরিবহনের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে চার কন্টেইনার পণ্য কলকাতা থেকে আসার কথা।”

আগামী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসার কথা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এটি সম্ভাব্য সময়, আসার ওপর তা নির্ভর করবে, এক-দুইদিন পেছাতেও পারে। এরপর বন্দর হয়ে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ত্রিপুরায় যাবে।”

এর মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে ভারতীয় এসব পণ্য সড়কপথে নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে কিনা তা বোঝা যাবে বলে জানান বন্দর কর্মকর্তা জাফর আলম।

কলকাতার বন্দর থেকে বাংলাদেশি ‘এমভি সেঁজুতি’ জাহাজে পরীক্ষামূলক পণ্য পরিবহনের প্রথম চালানের চার কন্টেইনার পণ্য আসবে। এর স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ম্যাঙ্গো লাইন লিমিটেড।

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়াকুব সুজন ভূঁইয়া বলেন, “১৫৫টি কন্টেইনার নিয়ে জাহাজটি শনিবার রাতে চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়েছে। মঙ্গলবার নাগাদ সেটি কলকাতায় পৌঁছানোর কথা আছে। সেখান থেকে ভারতীয় ট্রানশিপমেন্টের চারটি কন্টেইনারসহ অন্যান্য নিয়মিত পণ্যের কন্টেইনার বোঝাই করে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেবে।

“আগামী বৃহস্পতিবারে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর সিডিউল থাকলেও তা এক-দুইদিন পেছাতে পারে। তাদের তত্ত্বাবধানেই এসব কন্টেইনার আখাউড়া পর্যন্ত পৌঁছে দেয়া হবে।”

চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহনের জন্য ২০১৮ সালের অক্টোবরে দিল্লিতে ভারত-বাংলাদেশ সচিব পর্যায়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। পরবর্তীতে দুই দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা এবং চুক্তির পর তা একটি পর্যায়ে আসে।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহনের জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে সাত প্রকারের মাশুল নির্ধারণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এসব আদায় করবে। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের জন্য তারা ট্যারিফ পাবে।

এসব হল- প্রসেসিং মাশুল, ট্রান্সশিপমেন্ট মাশুল, নিরাপত্তা মাশুল, প্রশাসনিক মাশুল, এসকর্ট মাশুল, কন্টেইনার স্ক্যানিং মাশুল ও ইলেকট্রিক সিলের মাশুল। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) হিসেবে প্রায় ৪৮ ডলারের মতো মাশুল দাঁড়াবে।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার ফখরুল আলম বলেন, “ভারতীয় পণ্য পরিবহনের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরুর বিষয়টি আমরা জেনেছি। এনবিআর থেকে এখনও লিখিত নির্দেশনা পাইনি। পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।”