ই-গেইটে ১৮ সেকেন্ডে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হয়।
Published : 15 Nov 2022, 09:11 PM
বাংলাদেশ শিগগিরই ই-ভিসার যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-গেইট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, “আপনারা জেনে খুশি হবেন আমরা ই ভিসাও চালু করতে যাচ্ছি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে ই-ভিসা চালু করব। এ সেক্টরকে আমরা পুরোপুরি ডিজিটালাইজড করতে যাচ্ছি।”
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা এমআরপি করেছিলাম। এরপর ই-পাসপোর্ট শুরু করি। এখন প্রতিদিন ২০ হাজার ই-পাসপোর্ট প্রিন্ট করছি। ইতিমধ্যে ঢাকায় ২৬টি ই-গেইট চালু করেছি। আজ চট্টগ্রামে ৬টি ই-গেইট উদ্বোধন করছি।"
প্রধানমন্ত্রী তার অঙ্গীকার রক্ষা করে চলেছেন মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “তিনি (শেখ হাসিনা) বলেছিলেন- ক্ষমতায় এলে সবকিছু ডিজিটাল করবেন। দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে।
“ই-গেইট সেবা, দেশি ও বিদেশিরা সহজে এ সেবা নিতে পারবেন। যাদের ই-পাসপোর্ট আছে তারা সহজে পার হয়ে যাবেন। চট্টগ্রামবাসীর জন্য এ উপহার।"
অনুষ্ঠানে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ার বলেন, “ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া এর মাধ্যমে ডিজিটাল হবে। শুধু ভিসা যাচাই প্রক্রিয়া কিছুটা ম্যানুয়াল থাকছে।"
ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ক্রিয় পাসপোর্ট ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় ই-গেইট স্থাপনের কাজ চলছে। ঢাকায় এখন পর্যন্ত ৫৭ হাজার যাত্রী এ সেবা নিয়েছে বলে জানান তিনি।
এসব গেইটে ই-পাসপোর্ট যাচাই, পাসপোর্টে থাকা বায়োমেট্রিক ও ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই এবং সামগ্রিক ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সমন্বিতভাবে করা সম্ভব। একজন ই-পাসপোর্টধারী কারো সহযোগিতা ছাড়া মাত্র ১৮ সেকেন্ডে ডকুমেন্ট যাচাই করে ইমিগ্রেশন শেষ করতে পারেন।
যাত্রী ই-পাসপোর্টের প্রথম পাতা স্ক্যানিং মেশিনের উপর রাখার পর প্রথম গেইটটি খোলে। স্ক্যানিং মেশিনের শনাক্তকরণ ক্যামেরার মাধ্যমে ছবি ধারণ এবং এরপর পরিচয় নিশ্চিত হলে বহির্গমন গেইটটিও খুলে যাবে।