এর মালিক সোনিয়া মেহজাবিন এবং তার স্বামী মাসুকুর রহমান গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। আরেক কর্মকর্তা সোনিয়ার ভাই ভারতে গিয়ে ধরা পড়েছেন শেখ সোহেল রানা।
Published : 07 Dec 2023, 06:43 PM
প্রতারণা মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের কর্ণধার সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান ও সোনিয়ার ভাই সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা শেখ সোহেল রানাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে চট্টগ্রামের একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম জুয়েল দাশ এ আদেশ দেন।
মামলায় বাদীর আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই আদালতে মামলার চার্জশিট দাখিল করলে আদালত তা গ্রহণ করে ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিনসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন।"
গ্রাহকদের প্রতারিত করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে যে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো বিপাকে পড়েছে, তার একটি ই-অরেঞ্জ। এর মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। পালিয়ে ভারতে গিয়ে ধরা পড়েছেন শেখ সোহেল রানা।
এ মামলায় আসামিরা হলেন- ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা শেখ সোহেল রানা, ই-অরেঞ্জ কর্মকর্তা আমান উল্লাহ চৌধুরী, জায়েদুল ফিরোজ, নাজনীন নাহার বিথী ওরফে বিথী আক্তার ও নাজমুল হাসান রাসেল।
ই-অরেঞ্জের মালিকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে গত ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর প্রতারণার অভিযোগে তিনজন গ্রাহকের পক্ষে মামলাটি করেন নুরুল আবছার পারভেজ (৩৫)। তিনি নগরীর রেয়াজউদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী।
অগ্রিম টাকা দিয়ে পণ্য না পাওয়ায় তিন গ্রাহকের পক্ষে তিনি মামলাটি করেন।
আদালত সেদিন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পারভেজ ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা করে চারটি মোটরসাইকেলের জন্য মোট পাঁচ লাখ ছয় হাজার টাকা এবং ১০টি গিফট ভাউচারের জন্য মোট ৩০ হাজার টাকা (যাতে দ্বিগুণ গিফট দেওয়ার কথা ছিল) পরিশোধ করেন।
আরেক গ্রাহক মোরশেদ শিকদার দুটি মোটরসাইকেলের জন্য দুই লাখ ১৭ হাজার ৮০০ টাকা, একটি মোবাইলের জন্য ৮ হাজার ৯৯০ টাকা এবং ১৯টি গিফট ভাউচারের জন্য ৫৭ হাজার টাকা দেন। অন্য গ্রাহক মাহমুদুল হাসান খান দুটি মোটরসাইকেলের জন্য দুই লাখ ৮০ হাজার ৯৫০ টাকা দেন।
২০২১ সালের ২৭ মে এবং ১২ জুন ও ১৩ জুন এসব টাকা পরিশোধ করেন তারা। কিছুদিনের মধ্যেই গ্রাহকদের কেনা পণ্য তাদের কাছে পৌঁছানোর কথা থাকলেও তা আর পৌঁছেনি।
পরে তারা ই-অরেঞ্জ এর হেড অফিসে গেলে তা বন্ধ দেখতে পায় বলে মামলায় উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন