ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে মামলা

অগ্রিম টাকা পরিশোধের পর নির্ধারিত সময়ে পণ্য না পেয়ে ই-অরেঞ্জের মালিকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আদালতে প্রতারণা মামলা করেছেন এক ক্রেতা।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Oct 2021, 02:50 PM
Updated : 6 Oct 2021, 02:50 PM

বুধবার করা মামলাটির বাদী নুরুল আবছার পারভেজ (৩৫)। তিনি নগরীর রেয়াজউদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী। পণ্য না পাওয়া তিন গ্রাহকের পক্ষে তিনি মামলাটি করেন।

মামলায় আসামি করা হয়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা শেখ সোহেল রানা, ই-অরেঞ্জ কর্মকর্তা আমান উল্লাহ চৌধুরী, জায়েদুল ফিরোজ, নাজনীন নাহার বিথী ওরফে বিথী আক্তার এবং নাজমুল হাসান রাসেলকে।

চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম হোসেন মোহাম্মদ রেজা অভিযোগটি গ্রহণের পর তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান বাদীর আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ।

তিনি বলেন, “১১ লাখ ৮৮ হাজার টাকার পণ্য কিনলেও তা বুঝিয়ে দেয়নি ই-অরেঞ্জ। তিনজন ক্রেতার পক্ষে নুরুল আবছার পারভেজ বাদী হয়ে প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগে মামলাটি করেছেন।”

মামলার এজাহারে বলা হয়, নুরুল আবছার পারভেজ ১ লাখ ২৬ হাজার ৯০০ টাকা করে চারটি মোটর সাইকেলের জন্য মোট পাঁচ লাখ ছয় হাজার ৬০০ টাকা এবং ১০টি গিফট ভাউচারের জন্য মোট ৩০ হাজার টাকা (যাতে দ্বিগুণ গিফট দেওয়ার কথা ছিল) পরিশোধ করেন।

আরেক গ্রাহক মোরশেদ শিকদার দুটি মোটরসাইকেলের জন্য দুই লাখ ১৭ হাজার ৮০০ টাকা, একটি মোবাইলের জন্য ৮ হাজার ৯৯০ টাকা এবং ১৯টি গিফট ভাউচারের জন্য ৫৭ হাজার টাকা দেন। অন্য গ্রাহক মাহমুদুল হাসান খান দুটি মোটর সাইকেলের জন্য দুই লাখ ৮০ হাজার ৯৫০ টাকা দেন।

চলতি বছরের ২৭ মে এবং ১২ জুন ও ১৩ জুন এসব টাকা পরিশোধ করেন তারা। কিছুদিনের মধ্যেই গ্রাহকদের কেনা পণ্য তাদের কাছে পৌঁছানোর কথা থাকলেও তা আর পৌঁছেনি। পরে তারা ই-অরেঞ্জ এর হেড অফিসে গেলে তা বন্ধ দেখতে পায় বলে মামলায় উল্লেখ করেন।

গ্রাহকদের প্রতারিত করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে যে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো বিপাকে পড়েছে, তার একটি ই-অরেঞ্জ। এর মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। পালিয়ে ভারতে গিয়ে ধরা পড়েছেন শেখ সোহেল রানা।