আগুন নিভিয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থল ছাড়ার আগ মুহূর্তে জানা যায়, এক বাথরুমে পাঁচজন আটকা পড়েছেন।
Published : 10 Feb 2025, 02:59 PM
চট্টগ্রামের বলুয়ার দিঘীর পাড়ে অগ্নিকাণ্ডে যে পাঁচজন হতাহত হয়েছেন, তারা সবাই এক পরিবারের সদস্য।
ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ কর্মকর্তাদের ধারণা, তারা আগুন থেকে বাঁচতে ঘরের বাথরুমে ঢুকে ছিল এবং সেখানে ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে গেছেন।
সোমবার সকালে সওদাগর কলোনির টিনশেড ঘরের আগুনে মারা যান মো. ইলিয়াস (৫৪), পারভীন আক্তার (৪৫) দম্পতি। এছাড়া তাদের সন্তান সোহান, শাহিনা এবং ইলিয়াসের ভাই ফয়সাল আহত হয়েছেন।
চন্দনপুরা ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোকাররম হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ওই আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের চারটি গাড়ি ঘটনাস্থলে যায়। সকাল ৮টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
শর্ট সার্কিট থেকে লাগা এ আগুনে পাঁচটি ঘর পুরো এবং চারটি ঘরের আংশিক পুড়েছে। তাতে অন্তত ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মোকাররম।
চট্টগ্রাম মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ বলেন, আহতরা দগ্ধ না হলেও তাদের শ্বাসনালীর ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয়দের ভাষ্য, আগুনে অনেক ধোঁয়ার কুণ্ডলী ছড়িয়েছিল। আগুন নিভিয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থল ছাড়ার আগ মুহূর্তে জানা যায়, একটি সেমিপাকা ঘরের বাথরুমে পাঁচজন আটকা পড়েছেন। তখন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তাদের উদ্ধার করেন।
ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল মান্নান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যে ঘরগুলোতে আগুন লেগেছে, তার বিপরীতে আরেকটি ঘরের বাথরুম থেকে আহতদের উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের ধারণা আগুন থেকে বাঁচতে তারা বাথরুমে ঢুকেছিল এবং ধোঁয়ায় সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েন।”
ঘটনাস্থল থেকে কোতোয়ালী থানার এসআই ইমামুর সাজ্জাদ বলেন, “আগুনে পাঁচটি ঘর পুরোপুরি পুড়ে গেছে। আর কিছু ঘরের আংশিক পুড়েছে। হতাহতরা যে ঘরের বাসিন্দা, সেটা আংশিক পুড়েছে। বাসার বাথরুম থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়েছিল।
“আমাদের ধারণা, তারা হয়ত আগুন থেকে বাঁচতে বাথরুমে চলে গিয়েছিল।”