“ধন্যবাদ ইইউএনএভিএফওআর অপারেশন আটলান্টা। ধন্যবাদ বাংলাদেশ। লাভ ইউ অ্যান্ড মিসিং ইউ বাংলাদেশ,” লিখেছেন চিফ অফিসার আতিকউল্লাহ।
Published : 14 Apr 2024, 02:59 PM
সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার ৩২ দিন পর মুক্তি পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকরা।
লাল-সবুজ পতাকা হাতে ফেইসবুক পোস্টে দেশের প্রতি বার্তায় জাহাজটির চিফ অফিসার আতিকউল্লাহ খান লিখেছেন, ‘লাভ ইউ অ্যান্ড মিসিং ইউ বাংলাদেশ’।
বাংলাদেশ সময় শনিবার রাত ৩টার দিকে মুক্তি পায় এমভি আব্দুল্লাহ ও এর ২৩ নাবিক; এরপর রোববার দুপুর পৌনে ২টায় নিজের ফেইসবুক আইডি থেকে প্রথম পোস্ট দেন আতিকউল্লাহ।
মুক্তির পর নিজেদের আনন্দ আর উচ্ছ্বাসের কয়েকটি ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেন, “আলহামদুলিল্লাহ। অবিশ্বাস্য প্রচেষ্টার জন্য এসআর শিপিংকে ধন্যবাদ। বন্ধু, পরিবার ও সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা যারা পুরো যাত্রায় আমাদের জন্য প্রার্থনা করেছেন।
“ধন্যবাদ ইইউএনএভিএফওআর অপারেশন আটলান্টা। ধন্যবাদ বাংলাদেশ। লাভ ইউ অ্যান্ড মিসিং ইউ বাংলাদেশ।”
ছবিগুলোতে এমভি আবদুল্লাহর পাশেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ইইউএনএভিএফওআর অপারেশন আটলান্টার একটি যুদ্ধ জাহাজ দেখা যায়। আরেকটি ছবিতে দেখা যায় বাংলাদেশি নাবিকদের সঙ্গেই রয়েছেন ইইউ নেভির কমান্ডোরা।
গত ১২ মার্চ দুপুরে ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশের কবির গ্রুপের এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।
মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাচ্ছিল জাহাজটি। জিম্মি ২৩ নাবিকের সবাই বাংলাদেশি।
অস্ত্রের মুখে জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যায় জলদস্যুরা। সেখানে পৌঁছানোর পর বারবার জাহাজের অবস্থান পরিবর্তন করা হয়। ছিনতাইয়ের নয় দিনের মাথায় জলদস্যুদের সাথে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে যোগাযোগ হয় জাহাজের মালিকপক্ষের। এরপর নানা দেন-দরবার শেষে তারা মুক্তি পেলেন।
মুক্তির পর এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়া থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা করেছে বলে মালিকপক্ষ জানিয়েছে।
কবির গ্রুপের মিডিয়া ফোকাল পার্সন মিজানুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জাহাজটি দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে ভোর রাত ৩টার দিকে রওনা করেছে। নাবিকরা সবাই সুস্থ আছেন।”
জাহাজ ও নাবিকদের মুক্তিতে সন্তোষ প্রকাশ করে রোববার নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “এত অল্প সময়ের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা ফয়সালা করা নজিরবিহীন। নববর্ষের প্রথম দিনে আমরা আনন্দিত। শুধু তাদের আত্মীয়স্বজনই নয়, পুরো দেশবাসী খুবই আনন্দিত, আমরা আমাদের নাবিকদের মুক্ত করতে পেরেছি।”
নাবিকদের মুক্ত করতে মুক্তিপণ দেওয়ার কোনো তথ্য সরকারের কাছে নেই বলে জানান তিনি।