আদা প্রতিকেজি ১৫০ টাকায় কিনে ২২৫ টাকায় বিক্রি করায় চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের একটি আড়তকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সকালে সিলগালার করার পর বিকালে ১৮০ টাকা দরে বিক্রির অঙ্গীকার করে এটি খুলেছে।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে আদার দাম তদারকিতে খাতুনগঞ্জে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এসময় মেসার্স আল নুর করপোরেশনে অভিযানে গিয়ে বেশি দামে আদা বিক্রির প্রমাণ পায় তারা।
ভোক্তা অধিকারের চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মো. ফয়েজ উল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা আদা কেজি প্রতি ২২৫ টাকায় বিক্রি করেছিল। তাদের কাছে আদা সংগ্রহের কাগজপত্র চাইলে তারা সঠিকভাবে দেখাতে পারেনি।
“এক পর্যায়ে তারা মিয়ানমার থেকে আনা আদা কেজি প্রতি দেড়শ টাকা দামের কথা বলে। দামের বেশি ফারাক থাকায় আড়তটি সাময়িক সিলগালা করে দেওয়া হয়।”
পরে ওই আড়ত মালিক এবং আদা ব্যবসায়ীরা ভোক্তা অধিদপ্তরের কার্যালয়ে বিকালে গিয়ে বৈঠক করে এবং আড়তে ১৮০ টাকা কেজি দরে মিয়ানমার থেকে আনা আদা বিক্রি করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়।
ফয়েজ উল্লাহ জানান, ব্যবসায়ীরা আদা ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করবে বলে কথা দেওয়ার প্রেক্ষিতে আল নুর করপোরেশনকে খুলে দেওয়া হয়। তারা মঙ্গলবার থেকে পুনরায় আদা বিক্রি করতে পারবে।
অভিযানে মূল্য তালিকা না থাকায় মেসার্স মিতালী ট্রেডার্স নামে অন্য একটি আড়তকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।